বুধবার, ২৯ মে, ২০১৩

ধর্ম কি ও কেন?

মানুষ যখন মানবিকতা হারিয়ে, পাশবিকতায় প্রবেশ করে, গভীর অন্ধকারে নিপতিত হয় তখনই বিশৃঙ্খল পরিস্থির সৃষ্টি হয়। কেবল তখনই, পথ ভ্রষ্টদেরকে অন্ধকার থেকে আলোতে ফিরে এনে, আদর্শ সমাজ গড়ার ল্েযই ধর্মের আবির্ভাব ঘটে। ধর্ম অর্থ- কর্ম। যেমন, চুম্বকের ধর্ম আকর্ষণ এবং বিকর্ষণ উভয়ই। চুম্বক সমমেরুতে বিকর্ষণ এবং বিপরীত মেরুকে আকর্ষণ করে। এটা তার জন্মগত অধিকার এ জন্মগত অভ্যাস বা জন্মগত ধর্ম বা জন্মগত কর্ম।
মানুষও এমনি যেসব কর্ম করে সেটাই তার ধর্ম। যেমন সমাজবদ্ধভাবে বসবাস করা, লেখাপড়া- খেলাধুলা করা, চাষ করা, নতুন নতুন আবিষ্কার করা ইত্যাদি। এই ধর্মের জন্যেই তার সৃষ্টি। যেমন- চুম্বক আকর্ষণ এবং বিকর্ষনের জন্য সৃষ্টি। যখন সে এই ধর্ম পালন করে তখনই তার জন্ম সার্থক।
অধিকার থেকে বঞ্চিত হলে, কেউ ভালভাবে বাঁচতে পারে না। তার মৃত্যুই অবধারিত। যেমন- পানির জীবকে ডাঙ্গায় বসবাস করতে দিলে, সে বাঁচবে না? মানুষকে, পানির তলে বসবাস করতে দিলে বাঁচবে না। এজন্যে, কোন প্রাণীর জন্মগত অধিকার থেকে বঞ্চিত করা কারো উচিত নয়। স্ব- স্ব অধিকার- জনিত ধর্ম বা কর্ম থেকে বঞ্চিত হলে বা দূরে থাকলে ধ্বংস অবধারিত।
বৃরাজিতে বসবাস করা এবং আকাশে বিচরণ করা, আহারের ল্েয জলে- স্থলে এসে, আহার শেষে, বৃরাজিতে চলে যাওয়াই তাদের ধর্ম বা কর্ম।  তার ধর্ম মতে-কর্ম না করে যদি আকাশ ছেড়ে, স্থলে থেকে যেতে  চায় বাচার ল্েয , পারবে কি? না পারবেনা। স্থলচরদের উর্ধ্বাকাশে  বসবাসের অধিকার নেই। যেমন স্থলচারিদের অধিকার আকাশে নেই। “গগনচরি যখন, হতে চাইবে স্থলচরি, পারবেনা থাকতে যাবে সে মরি”  প্রতি শক্তির আক্রোশে  বা আক্রমনে উভয়ই ধ্বংস হয়। তাই স্ব-স্ব জাতিগত, ধর্মগত জীবন জীবিকা পরিচালনা করতে হয় । যার যেখানে, আকাশে -পাতালে, জলে- স্থলে বৃরাজিতে চলে যেতে হয়, এটাই নিয়ম- এটাই কর্ম বা ধর্ম। ম্ব-স্ব ধর্ম মতে না চললে- তার ধ্বংস নিশ্চিত। মূলতঃ স্ব-স্ব ধর্ম-কর্মের বিপরীত হলেই তা অনাকাঙ্খিত। সকল প্রকার প্রাণী স্থলচরি- স্থলে, গগনচরি- গগনে এবং  সকল বস্তুকেই স্ব-স্ব ধর্মানুযায়ী জীবন যাপন করতে হবে। কর্মই জীবন, কর্ম না থাকলে প্রাণহীন বা মৃত্যু বলা  যেতে পারে। কর্মহীনতা জীবন নয়- কর্মই জীবন। জীবন নেই, কর্ম নেই, কর্ম নেই জীবন নেই, জীবনহীন- অর্থাৎ মৃত, । যে বস্তু বা প্রাণীর কর্ম নেই তার প্রাণ নেই।  এটাই চিরন্তন সত্য।
সকল জীব এবং বস্তুর মধ্যে জীবন জীবিকার রীতি-নীতি বা ধর্ম- কর্ম রয়েছে।
তদানুযায়ী চলাই তার জন্য বাঞ্চনীয়। মৃত্তিকার ধর্ম, উৎপাদন। উৎপাদন শক্তি না থাকলে, সে মৃত্তিকা মূল্যহীন। কারণ বৃৃ ফসলাদি- ফলরাজি , উৎপাদনেই মৃত্তিকার একান্ত কর্ম। ফলজ বৃৃ ফল না দিলে সেও সাধারণত: মূল্যহীন। তবে ঘর সরঞ্জাম বা জ্বালানির জন্যে কাজে আসে। আগাছাকে বাতিল বৃ-লতা বলে ধরা হয়,অর্থাৎ প্রয়োজন বর্হিভূত। এই আগাছারও একটা ধর্ম আছে। তা হলো জ্বলন শক্তি, জ্বলন শক্তি না থাকলে নিপ্তি হয় আবর্জনার স্তুপে। তবে, একেবারে বিফলে যায় না । ময়লাতে পরিণত হয়ে, পঁচে- গলে- গ্যাসের সঞ্চার করে। তাও মানবের মঙ্গলজনক কাজে আসে বা বিপদও ডাকতে পারে। যেমন ল-কোটি বৎসরের জমাকৃত গ্যাস, পরবর্তিতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি করতে পারে। মোট কথা, সকল জীব এবং বস্তুর মধ্যেই জীবন জীবিকার জন্য বা ধর্ম সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত হয়েছে কল্যাণ শক্তি রয়েছে। তাই আপনাপন ধর্ম- রীতি- নীতি মোতাবেক তারা কাজ করে যাচ্ছে। স্ব-স্ব- ধর্ম মতে কাজ করে যাচ্ছে বলেই তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ বলতে কিছুই নেই। মহান স্রষ্টা আল্লাহ্ কর্তৃক প্রদত্ত নিয়মে সকল জীব বৃ-লতা, গ্রহ, উপগ্রহ, নত্ররাজি-নিহারিকা- গ্যালাক্সি, যত সৌর মন্ডল সবই। তাই তাদের কর্ম েেত্র কোন প্রকার ব্যতিক্রম বা অনিয়ম দেখা যায় না। কারো ক পথে কেউ গমন  বা অনাধিকার প্রবেশ করছে না। স্ব-স্ব ক পথেই চলছে তো চলছে। যার কর্ম আলো বিকিরণ করা- সে তাই করে যাচ্ছে। তাদের মধ্যেও সমশক্তি সম্পন্ন আকর্ষণ-বিকর্ষণ রয়েছে। কেউ-এক অন্যকে টেনে নিতে পারছেনা বা- বিকর্ষণের মাধ্যমে অন্যটিকে তার স্বীয়  ক পথ থেকে সরিয়ে দিতেও পারছে না তাই পদস্খলিত হয়ে কেউ ক চ্যুত হচ্ছে না।
উল্কার ন্যায়-গ্রহ যদি একটিও পদস্খলিত হয়, সব ধ্বংস হয়ে যাবে। 
গ্রহ-উপগ্রহ- নত্র গুলো কতইনা শান্ত। আপনাপন গতিতে স্বীয় কর্মে রত রয়েছে।
মানব শ্রেষ্ঠ প্রাণী, অথচ কতইনা বিশৃঙ্খল। আমরা রীতি -নীতি এবং ধর্ম-কর্মে কতইনা, উদাসিন । ঝগড়া, মারা-মারি, খুন, রাহাজানি, ছিনতাই, ডাকাতি, চুরি, জেনা, অনাধিকার চর্চা- ইত্যাদি সকল অকর্মই- আমাদের মধ্যে বিদ্যমান। পশুদের মধ্যে ঝগড়া হলেও এক বা একাধিক ক্রমে মিমাংসা করে। প দ্বয়ের মধ্যে একটি নতি স্বীকার করে এবং যত তাড়াতাড়ি ঝগড়ার স্থান ত্যাগ করে। কিন্তু মানুষ এক প অন্য পকে জানে-মালে ধ্বংস করা ছাড়া নতি স্বীকার করতে জানে না। জানলেও রিপুর তাড়নায় পারে না। স্বীয় অধীনে, এ রিপুকে যে রাখতে পারে সেইতো বীর। মহান স্রষ্টা আল্লাহ মানুষকে অতি আগ্রহ করে সৃষ্টি করেছেন। গ্রহ, উপগ্রহ, নিহারিকা, গ্যালাক্সি, সৌর জগৎ সবকিছু মানুষের কল্যাণের  ল্েযই সৃষ্টি হয়েছে। কারণ মৎস্য যেখানে চাষ করা হয়, সেখানে যেন সুন্দরভাবে লালিত পালিত হতে পারে তার জন্য সকল ব্যবস্থা বর্তমান রেখেই মৎস্য পোনা ছেড়ে দেয়া হয়। ধরা যাক, মৎস্য পালনের জায়গা ইকুরিয়াম। ইকুরিয়ামের মধ্যে মৎস্য-খাদ্য বর্তমান রেখেই মৎস্য ছাড়া হয়। যতণ না মৎস্য চাষের উপযোগী হচ্ছে ততণ মৎস্য ছাড়া হয় না। তাই মহান স্রষ্টা আল্লাহ প্রথম মানব বসবাসের উপযোগী করেই মানব জাতিকে এ ধরা ধামে পাঠিয়েছেন। কারণ তাঁরা আল্লাহকে স্মরণ বা তাঁর ইবাদাতের মাধ্যমে জীবন যাপন করবে। তাঁর আদেশের বাইরে তারা চলবে না। তারা হবে অনুসারী অনুগামী। তারা, তাঁর হাবীব- হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর কথা মান্য করবে। শান্তির সুন্দর সমাজ গড়বে এবং মহান স্রষ্টার আদেশ নিষেধের আলোকে জীবন যাপন করবে। যারা তাঁকে স্মরণের মাধ্যমে জীবন- জীবিকা অর্জন করবে এ অস্থায়ী সীমিত পথ শান্তি সুখে অতিক্রম করবে। তারা স্বর্গীয় জীবনের অধিকারী। সে মানবগণ আজ কোথায়? তাঁর প্রদত্ত খাদ্যতো ভোগ করা হচ্ছে। বেতন ঠিকই নেয়া হচ্ছে কিন্তু কারখানা চলছে না। যারা বেতন ভোগ করবে কর্ম করবে না তাদেরকেই তো নিমক হারাম বলা হয়। সৃষ্টিকুলের মধ্যে মানব শ্রেষ্ঠ জীব। তাদের ধর্ম অর্থাৎ কর্ম হবে শ্রেষ্ঠ। মানবকে যে জ্ঞানের অধিকারী করেছে, অন্য পশু পাখিকে সে জ্ঞান প্রদান করা হয়নি। তাই পশুদের কোন গ্রন্থ বা মহা পশু আসেনি। যেমন মানব কুলে মহা মানবগণের আগমন ঘটে। তবে ল্য করার বিষয় হচ্ছে যে, অন্য সব জীবন জগত যেখানে জীবন-জীবিকার্জনের জ্ঞান লাভ করেছে, মানুষও সেভাবে জীবন জীবিকার্জনের জ্ঞান লাভ করেছে। কিন্তু একটি জ্ঞান অতিরিক্ত দিয়েছে, যা শ্রেষ্ঠ জ্ঞান। উক্ত শ্রেষ্ঠ জ্ঞানটির কারণেই মানবকুলকে শ্রেষ্ঠ জীব বলা হয়। মানব স্রষ্টার আদরের সৃষ্টি। তাই শ্রেষ্ঠ জ্ঞান প্রদান করা হয়েছে। তারা তাদের শ্রেষ্ঠ জ্ঞানের মাধ্যমে স্রষ্টাকে এবং স্রষ্টার সৃষ্টিকে চিনতে পারবে। বুঝতে পারবে তাদের সৃষ্টির কারণ সম্পর্কে এবং দায়িত্ব সম্পর্কে? জ্ঞানটি হচ্ছে আগুন, পানি, মাটি, বাতাস, আলো, মাটির গভীরে লুকানো তৈল, গ্যাস, সোনা, রৌপ্য, পিতল, দস্তা, হিরা, মুক্তা, পেট্রোল, ডিজেল, পাথর, চুনা পাথর, কয়লা, সিমেন্ট, বালি ইত্যাদি স্রষ্টা প্রদত্ত নিয়ামত পশু পাখি, বৃলতা মোট কথা সব সৃষ্টকে বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে মানবই ভোগ করতে পারে। অন্যরা তা পারে না। তাই তাদের হিসেব নেই, প্রশ্নোত্তর নেই। মানুষের আছে কারণ মানব সর্বভোগি।  যদিও মানবের জন্য সব সৃষ্টি, তারা সরাসরি পশু পাখিদের ন্যায় ভোগ করতে পারবে না। তাদেরকে বিবেক বুদ্ধির দ্বারা স্বীয় হস্তে মুখরোচক খানা তৈরি করে খেতে হবে। কিন্তু পশুরা উৎপাদন করতে অর্থাৎ খানা তৈরি করে খেতে পারে না। মানুষ বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে মহান স্রষ্টার সৃষ্ট সব কিছুই ভোগ করে থাকে। মানুষকে সব ভোগের মতা কেন দেয়া হলো? দেয়া হলো এ জন্য যে, তারা স্রষ্টার ইবাদাত করবে। ইবাদাত কিভাবে করবে? নীতি নিয়ম কি? ইবাদাত কাকে বলে? কি কি কর্ম কিভাবে করলে ইবাদত হবে? পূর্বেই তা বলা হয়েছে।
ইবাদাতের পথ নির্দেশনা প্রদানের ল্েযই মহামানবগণের আগমন ঘটেছে। তাদের মাধ্যমে যে সকল গ্রন্থ মানবকুলে এসেছে, তাতেই ভোগের নীতি নিয়ম প্রদত্ত হয়েছে। মহাগ্রন্থে প্রদত্ত নীতি নিয়মানুযায়ী ভোগ করলে এবং মানবতা রা করলে সমাজকে কলুষ- মুক্ত রেখেই সুন্দর শান্তি সুখের সমাজ গঠন এবং স্রষ্টা প্রদত্ত দানগুলো ভোগের কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ল্েয দৈনিক পাঁচ বার নামাজের মাধ্যমে মালিকের সামনে উপস্থিতিকে পূর্ণ ইবাদত বলা হয়। অন্য কথায় ইসলামের মহামানব হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর কর্তৃক আনীত যে মহাগ্রন্থ আল ক্বোরআন এবং হাদীস, তার আলোকে জীবন যাপন করার নামই ইবাদাত।

রাতের আলো

নবীপাক (সাঃ) এর সেবা কর্মে খুশি হয়েছিলো আরবেরা। তাই আরব বিশ্বে এবং তার বাইরেও ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছিলো। বর্তমানে তেমন কোন ইসলামী সংগঠন পরিলতি হচ্ছেনা। কিছু থাকলেও মানব সেবামূলক নয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এগুলোর মূল ল্য হচ্ছে অর্থোপার্জন। সেবার কাজ হচ্ছে শতকরা দশ ভাগ। সম্মানিত বিশেষজ্ঞ ওলামায়ে কিরাম এবং মুমিন বুদ্ধিজীবিগণের প্রতি আল্লাহ এবং রাসূল (সাঃ) প্রদত্ত দায়িত্বের প্রতি বিশেষ সচেতনতা অবলম্বনের জন্য প্রার্থনা রইল। সম্মানিত ওলামায়ে কেরামগণ আপনারা জানেন, সূরা মাউনের মধ্যে বলা হয়েছে, সে সকল নামাজীদের দুর্ভোগ যারা এতীম, মিসকিনের সাথে দুর্ব্যবহার করে  এবং গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে।  উক্ত বাণীতে বুঝানো যাচ্ছে  যে, যারা নামাজ পড়ে অথচ মন্দ কর্মও করে ।  যারা ভালো কর্ম অর্থাৎ সেবা মুলক কর্ম করেনা তারা নবীপাক (সাঃ) এর ন্যায় সমাজ সেবক হতে পারে না। সুতরাং আপনাদেরকে নবীপাক (সাঃ) এর পদাঙ্ক অনুসরণ করতে হবে । কি কি কর্ম করলে অনুকরণ-অনুসরণ করা হবে, তা আপনারা ভালোই  জানেন। এখনও যদি সজাগ না হন, একতা , রা না করেন এবং ত্যাগ স্বীকার  না করেন তবে ইসলামের অগ্রগতি ব্যাহত হবে।
দেখা যাচ্ছে যে, ওলামায়ে কেরামগণের মধ্যে বিরোধের দেয়াল গড়ে উঠেছে। ক্বোরআন এবং হাদীস শরীফ যথার্থভাবে অনুসরণ-অনুকরণ হচ্ছে না। তাই ইসলামের তরী অগ্রে না গিয়ে পেছনের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
ধর্ম বিষয়ে কমাভিজ্ঞ হয়েও বেশী অভিজ্ঞতার পরিচয় দিতে গিয়ে, স্থান-কাল-  পাত্র বিচার- না করে -যা মুখে আসে প্রকাশ করে অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গের নিকট বোকা বনে যাচ্ছেন অনেক আলেম। বিষয়টি মাথায় রেখেই যে কোন পদপে নেয়াটা হবে বুদ্ধিমানের কাজ। ধর্মীয় বিষয়ে কমাভিজ্ঞ ব্যক্তি নিজেকে বুদ্ধিমান বলে পরিচয় দিতে গিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের মাধ্যমে সমাজকে বিপদগামী করে ফেলছে। তাই ধর্মের-মানবতার- জাতির- ব্যক্তির- সমাজের অগ্রগতি না হয়ে, শান্তির তরীটি হাওয়ার স্পর্শে পাগলা জলের ঢেউ তরঙ্গে হাবডুবু খাচ্ছে। এমনি দুর্যোগ অবস্থায় মাঝি-মাল্লা-সতর্ক না হলে, শান্তিতরীটি অশান্তাবস্থায় অচিরেই তলিয়ে যেতে পারে। যাত্রীগণকে, সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সাবধানতার রশিকে শক্ত হাতে ধরতে হবে। নবীপাক (সাঃ) এর জীবনটাই সমাজের সাথে স¯পৃক্ত ছিলো। সামাজিক কর্ম কান্ডে পুরোপুরি ভাবে জড়িত ছিলেন তিনি। ব্যক্তি এবং সমাজকে তথা মানব জাতিকে পথ নির্দেশনা প্রদানের ল্েযইতো মহামানবগণের আগমন ঘটে। একবার এক ব্যক্তি এসে নবীপাক (সাঃ) কে, জিজ্ঞেস করলো-ইয়া-রাসূলাল্লাহ্ আমি অর্থনৈতিক ভাবে বিশেষ কষ্টে আছি. আমি এখন কি করবো? আমাকে সু-পরামর্শ দানে যেন হুজুরের মর্জি হয়। নবীপাক (সাঃ) বললেন, তোমার ঘরে এমন কোন কিছু আছে কি? যা বিক্রি করলে তোমার বিশেষ কোন তি হবেনা। উক্ত ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ এমন কিছুই নেই, তবে একটি কম্বল আছে, যা বিক্রি করলে তেমন কোন প্রকার সমস্যা হবেনা। তিনি কম্বলটি নিয়ে আসতে বললেন। তা নিয়ে এলে নবীপাক (সাঃ) তার কম্বলটি বিক্রি করে, সেই অর্থ দ্বারা কাঠ কাটার একখানা কুড়াল ক্রয় করে ,উক্ত ব্যক্তির হাতে তুলে দিলেন এবং বললেন, যাও এদিয়ে কাঠ কেটে বাজারে বিক্রি করো, আল্লাহর রহমতে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।তখন থেকে লোকটির জীবনের উন্নতির চাকা অনুকূলে ঘুরে গেলো। এটি নবীপাক (সাঃ) এর সমাজ সেবার, জলস্ত দৃষ্টন্ত নয় কি? ব্যক্তি সুখি হলে সমাজ সুখি, সমাজ সুখি হলে, রাষ্ট্র সুখি। সমাজ উন্নয়নের প্রতি বিশেষ ইংগিত্ বহন করছে এ ঘটনা। যে সমাজ অভাব মুক্ত, সে সমাজ শান্তির সমাজ। যদি ধর্মীয় আলোকে সমাজ গঠিত হয়, তবেইতো ধর্মের স্বার্থকতা। সার্বিক মুক্তির ল্েযইতো ধর্মের আগমন ঘটে। ধর্মের আলোকে সমাজ গঠন হলেই অভাব থাকবেনা। ধর্মীয় রীতি নীতি থেকে যে সমাজ দূরে অবস্থান করে, সে সমাজ অমানিশার অন্ধকারে তলিয়ে যায়।

নবীর অতিথি সেবা

মহাগ্রন্থ  আল-ক্বোরআন  এবং হাদীস শরীফকে বিশ্বমানবের কাছে উপস্থাপন  করে বসে ছিলেন না বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বরং স্বীয় হস্তে কর্ম করে দেখিয়ে দিয়েছেন, মানবতার সেবা কাকে বলে। উদাহরণ স্বরূপ একটি ঘটনা সম্পর্কে না বললে নয়। ঘটনাটি এরূপ, একদা এক আগন্তুক এসে নবী পাক (সাঃ)  এর নিকট রাত যাপনের জন্য আশ্রয় কামনা করলো। নবী পাক (সাঃ) লোকটির থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে নিজ মহলে চলে গেলেন। লোকটি পানাহার করে শুয়ে গেলো বটে কিন্তু তার ঘুম হচ্ছিলো না চট্পট্ করছে আর যেন কি ভাবছে। এমতাবস্থায় তার পেটের পিড়া শুরু হয়ে গেলো। দ্রুত  বেরিয়ে যাওয়ার সময়ও সে পাচ্ছিলো না বিধায় বিছানাপত্রে মলমূত্র ত্যাগ করে ফেলে। এ দিকে রজনী প্রায় শেষ, ভোরের আজানের সময় আগত। এমন সময় নবীপাক (সাঃ) তাঁর মেহমানকে দেখতে এলেন, মেহমান কি অবস্থায় রাত যাপন করেছে। এসে দেখতে পেলেন  এক করুণ দৃশ্য। বিছানাটি ময়লায় ভর্তি।   দেখে নবীপাক (সাঃ) পেরেশান হয়ে পড়লেন। লজ্জায় অবনত হয়ে এ বলে মা প্রর্থনা করলেন মহান আল্লাহর দরবারে, হে আল্লাহ  আমাকে মা করো। হে আল্লাহ্ লোকটি সারা রাত কতইনা কষ্ট  করেছে । হে আল্লাহ আমায় মা করো তাকে যদি পেতাম সুস্থকরে বিদায় দিতাম। নবীপাক  (সাঃ) এই বাক্যগুলোর মধ্যে বসে নেই। তিনি মনে মনে এবং উচ্চস্বরে বলছেন আহা লোকটি কোথায়- বলতে বলতে ময়লা যুক্ত বিছানা পরিস্কার করছেন, এমনি সময় বিছানা উঠাতে গিয়ে বিছানার নীচে একখানা তরবারী পেলেন এবং তা স্ব-হেফাজতে রেখে- দুঃখ ভারাক্রান্ত  মনে বলতে লাগলেন আহা, লোকটির তরবারী কিভাবে পাঠাই। এদিকে পেটের ব্যথা উপসম  হওয়ার সাথে সাথে লোকটি এসে গিয়েছিলো। লোকটি নবী পাক (সাঃ) থেকে একটু দূরে আড়ালে দাঁড়িয়ে, সব শুনছিলো। নবীপাক (সাঃ) ব্যথাহত চিত্তে  যে- যে কথা গুলো ব্যক্ত করেছিলেন সবই লোকটি শুনে ব্যথিত চিত্তে ভাবলো যে,  এমন এক মহামানবকে মারতে এসেছি ? সে নিজেকে প্রশ্ন করলো, আমার মতো  কু-চক্রান্তকারী, বদ-বখ্ত,  বদনছিব, ধরাধামে নেই। কি ভাবে আমি আমার কর্মের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবো। এমনি সময়, নবীপাক (সাঃ) কে বলতে শুনলো যে, লোকটাকে পেলে- তার সেবা করতাম এবং তার তরবারী খানা দিয়ে দিতাম। উক্ত কথাটি শুনার সাথে সাথে- লোকটি নবীপাক (সাঃ) এর সামনে হাজির হল, নবী পাক (সাঃ) তাকে দেখে খুশী হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ভাই তুমি রাতভর এতো কষ্ট করেছো আমাকে ডাকনি কেন? এখন কেমন আছ ? নাও তোমার তরবারী খানা। লোকটি তরবারী খানা নিয়ে নবীপাক (সাঃ) এর ক্বদম মোবারকে রেখে বললো ইয়া-রাসূলাল্লাহ্, আপনি সত্য-সত্যই আল্লাহর রাসূল- কোন সন্দেহ নেই। “আমি মূলতঃ মুসাফির ছিলাম না”- আমি এসেছিলাম আপনাকে  হত্যা করতে। ইয়া-রাসূলাল্লাহ্ আপনি আমাকে মা করুন এবং পবিত্র ইসলামে দিতি করুন। এ কি  ব্যবহারের ফল নয় ?  এখানে, ব্যবহার এবং সেবার ফলই পরিলতি হচ্ছে। এ জন্যেই বলা হয় “চরিত্র মাথার তাজ স্বরূপ”। বাদশাহর মাথার তাজ না থাকলে যেমন মানায় না, তেমনি চরিত্র সুন্দর না হলে মানুষের মূল্যায়ন হয় না। “ব্যবহারে বংশের পরিচয়” কথাটি চিরন্তন সত্য নয় কি ?  নবী পাক (সাঃ) যদি লোকটির কষ্টের জন্য দুঃখ প্রকাশ না করে- বদ বাক্য ব্যবহারে মানুষ ইসলামের পতি আকৃষ্ঠ হয়েছিল। যদি তরবারী খানা- না দিয়ে তার সাথে রুক্ষ্ম ব্যবহার করতেন তবে লোকটির মন জয় করতে পারতেন না। পথভ্রষ্ট, অর্থাৎ কাফেরগণ ইসলাম ধর্মে দিতি হয়েছিলো নবী পাক (সাঃ) এর আচরণে। নবী পাকের সাহাবাদের সুন্দর মনোমুগ্ধকর ব্যবহার করতেন যা আমাদের কাছে মোটেও  আশা করা যায় না। নবীপাক (সাঃ) অন্যকে খাওয়াতে গিয়ে নিজে  উপোস অর্থাৎ অনাহার  যাপন করেছেন, অপরের শান্তির জন্য।  মানুষকে দুনিয়ার নরক থেকে বাঁচিয়ে, ওপারে চিরস্বর্গ বাসি করার ল্েয আপন শান্তি নিদ্রাকে, হারাম করেছিলেন।  শান্তি প্রদানের ল্েযই  নবী পাক (সাঃ)  এর আগমন ঘটেছিলো। উনার আগমনের সাথে সাথে বিশ্বের শান্তির দ্বার উন্মুক্ত হয়।
উম্মুল মূূমিনীন হযরত খাদিজা (রাঃ) নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার প্রস্তাব পাঠালে, নবী পাক (সাঃ) শর্ত দিয়েছিলেন যদি তাঁর সমস্ত ধন সম্পদ  ইসলামের জন্যে ব্যয় করেন- তবেই সম্বন্ধ হতে পারে। মা- খাদিজাতুল কুবরা (রাঃ) তাই মেনে নিলেন। হযরত আবুবকর (রাঃ) ইসলামের জন্যে নিজের সব দিয়ে বলেছিলেন- আমার নিকট আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূল ছাড়া কিছুই নেই। যতজন ছাহাবা ছিলেন সকলেরই অন্তরে ত্যাগের উজ্জল রবি উদিয়মান ছিলো। কবির ভাষায় বলছিÑ
    ত্যাগ করেছেন সবই শান্তির তরে,
    এ অশান্ত ভূবন ধরাধাম পরে।                                                                                        
    সেবার তরে করেছেন সব শেষ
    সাহাবিগণ করেছেন বরণ অশেষ কেশ,
    তারি ফলে  আজ মুসলিম সমাজ,
    ছড়িয়েছে বিশ্বে ইসলামী রাজ।
    ত্যাগ করেছেন বিশ্বনবী,
    তিনি যে আঁধারে আলোর রবি।
তাই ইসলামে ন্যায়ের দ্বার উম্মুক্ত হয় এবং অন্যায় অত্যাচারের দ্বার চির তরে রুদ্ধ হয়। এখন অন্যায়ের  বিচার হয়। তখন সবাই ছিলো মুক্ত, যা ইচ্ছে তাই করতো। এ জন্য ঐ সময়কে অন্ধকার যুগ বলা হতো।

পাল উল্টো কেন ?

সম্মানিত ওলামায়ে কেরামগণ ইসলামের ধারক ও বাহক। উনাদের প থেকে যে কোন আদেশ উপদেশ আসুক তা ক্বোরআন এবং হাদীস শরীফের আলোকেই আসে। সুন্দর পরিবেশ, সুন্দর আদর্র্শ সমাজ এবং মানবতার সেবার কথা ক্বোরআন এবং হাদীসের আলোকেই তারা পরিবেশন করে থাকেন। দুঃখের বিষয় হচ্ছে উনাদের অধিকাংশই প্রচার করেন ঠিকই, কিন্তু নিজেরা তৎকর্তৃক প্রভাবিত হচ্ছেন না। নবীপাক (সাঃ) এর উদ্ধৃত বাণী মিষ্টি খাওয়ার ঘটনাটি সম্পর্কে উনারা ভালো জানেন। উক্ত আদর্শটি অনুসরণে এবং অনুকরণে তারা নিজেরা কতটুকু আন্তরিক সে দিকে একটু দৃষ্টি নিবদ্ধ করা প্রয়োজন নয় কি? তা না হলে সামাজিক কর্মকান্ডের স্থবিরতা থেকেই যাবে। তরী সামনের দিকে এগোবে না। নবী পাক (সাঃ) এর প্রদত্ত বাণী এবং আম্বিয়া গণকে স্মরণে রেখে সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ততা রা করা উচিত নয় কি ? তা না হলে উলামায়ে কিরামগণই নবী-প্রতিনিধি এ পবিত্র বাণীটির স্বার্থকতা কোথায় ? ধর্মের দায়িত্ব উনাদের ওপরই আর্পিত হয়েছে। উনারাই নবীপাক (সাঃ) এর পদাঙ্ক অনুসরণকারী। নবী পাকের ন্যায় আচরণে দৃৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে এবং উনাদের আচরণে থাকতে হবে নম্রতা এবং ভদ্রতা। ঈমান থাকবে বজ্রের মতো কঠোর। উলামায়ে কিরামগণই হবেন পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর পদাঙ্ক অনুসারী। পাল্লার মাপ কাঁটার ন্যায় বরাবর স্থানে অবস্থান করবেন। এক চুলও পদস্খলিত হবেন না। সর্ব শক্তিমান আল্লাহর সৈনিকের ভূমিকা পালন করতে হবে। আল্লাহর হাবীবের অর্থাৎ নবীপাক (সাঃ) এর পূর্ণ অনুসারি হতে হবে। তবেই আমাদের সাধারণের পে আপনাদের অনুসরণ সঠিক হবে। দলপতি যে দিকে ধাবিত হয়, পূর্ণ দলটা সেদিকে ধাবিত হতে থাকে। দলের মধ্যে বিশৃৃঙ্খলা বা যে কোন সমস্যার উদ্ভব হলে তা সমাধানের ল্েয বিশেষ বিশেষ লোক নিয়োগ থাকে। তারা সকলে এক সাথে বসে সমাধান দিয়ে থাকেন। নীতি নিয়মের মধ্যেই সৈনিকেরা চলে, তাই তারা দেশ রায় সম হয়। তেমনি যদি মুসলিম দুনিয়া উলামায়ে কিরামগণের মধ্য থেকে বিশেষ ব্যক্তিত্বের অধিকারী ক্বোরআন এবং হাদীসের ওপর বিশেষ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ ইসলামী সংগঠনের মাধ্যমে আদেশ উপদেশ পরামর্শের দ্বারা , ইসলামী দুনিয়া পরিচালনা করেন তবেই অগ্রগতি আশা করা যায়। বর্তমানে উলামায়ে কেরামগণ সেবা করছেন স্বাধীন ভাবে মনের ইচ্ছানুযায়ী কারো ধার ধারছেন না। যা ইচ্ছা করে যাচ্ছেন লিখে যাচ্ছেন এবং বলে যাচ্ছেন। এতে মুসলিম জনমনে বিভ্র্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে এবং ইসলামের অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে। কবির ভাষায়  ঃ

তাই, হৈ-চৈ আজ চারি দিকে,
তাই তরী যায় পিছের দিকে।

সাহাবয়ে কিরামগণের মধ্যে একতা ছিলো এবং তাঁরা নবী পাক (সাঃ) এর পূর্ণ পদাঙ্কানুসারি ছিলেন বলেই বিশাল সাম্রাজ্যের ওপর প্রভুত্ব করতে পেরেছিলেন। আজকের দিনে নায়েবে রাসূল দাবীদার সংখ্যায় অনেক  বেশী হলেও সমাজের সেবক হতে পারছেন না এবং মানুষের মনও জয় করতে পারছেন না। তাই রাষ্ট্র পরিচালনায় সুযোগ থেকে বঞ্চিত। উলামায়ে কিরামগণ এ বিষয় জানেন ভালো কিন্তু কর্ম থেকে বিরত থাকছেন। বিরাট এক দায়িত্ব থেকে দূরে অবস্থান করে উদাসীনতায় জীবনাতিপাত করছেন।  কবির ভাষায় বলছি Ñ
তাই মাঝি মাল্লাহীন তরী,
এলো মেলো পথে যাচ্ছে সরি।
আমীরুল মুমিনীন হজরত ওমর ফারুক (রাঃ) এক রাতে মরু বসতির অবস্থা পর্যবেনের জন্য বেরিয়ে পড়লেন। চলতে চলতে একটু দূরে দেখতে পেলেন ছোট একটি কুড়ে ঘরে বাতি জ্বলছে। বাচ্চাদের কান্না ধ্বনির মতো শব্দ শুনতে পেলেন। তাই তাঁর দেখতে ইচ্ছে হলো, সেখানে গিয়ে দেখলেন, কয়েকটা বাচ্চা গড়িয়ে গড়িয়ে কাঁদছে খানা দাও-খানা দাও বলে। মা চুলার উপর পানির হাড়ি চড়িয়ে জ্বাল দিচ্ছে, আর বলছে আব্বুরা তোমরা ঘুমিয়ে পড়ো খানা হলে আমি ডাকবো। বিনা খানায় নিদ্রা আসেনা । তাই কান্নাও থামছেনা। হজরত ওমর ফারুক (রাঃ) এ দৃশ্য দেখে দ্রুত রাষ্ট্রিয় কোষাগার থেকে এক বস্তা আটা নিজের পিটে করে নিয়ে বুড়ির ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে জিজ্ঞাসা করলেন, বাচ্চারা কেন কাঁদছে ? তখন বাচ্চাদের কান্না সম্পর্কে মা বললেনÑ দুদিন ধরে ওদের কিছু খেতে দিতে পারি না, আজও কোথাও কিছু পাইনি। আমীরুল মুমিনীন আটা দিয়ে বললেন, সরকার কি তোমাদের খবর রাখেন না ? তখন মহিলা বল্লো আমরা মরুভুমিতে থাকি, আমাদের খবর নেবে কে ? হজরত ওমর ফারুক (রাঃ) বললেন, তুমি আগামীদিন আমীরুল মুমিনীনের দরবারে  গিয়ে উপস্থিত হবে। হজরত ওমর ফারুক (রাঃ) যেতে যেতে মনে মনে বলতে লাগলেন, হে আল্লাহ্ তুমি আমাকে মা করো। আমি আমীর থাকা অবস্থায় এবুড়ি বাচ্চা নিয়ে কষ্ট করছে। হে আল্লাহ্ তুমি মাপ না করলে , আমি মাপ পাবো না। তুমি দয়া করে আমাকে মার দৃষ্টিতে দেখ। দরবারে গিয়ে আন্দর মহলে সেজদায় পড়েও কান্নাকাটি করে, বললেন হে আল্লাহ তুমি আমাকে মা করো- মা চেয়ে চেয়ে রাত কাটালেন। পরদিন মহিলা  এসে, গত রাতের সে খাদেম তার অপোয় দাঁড়িয়ে আছে দেখে, মহিলা সালাম দিয়ে বললো খাদেম সাহেব আমাদের আমীরুল মুমিনীন কোথায় ? একটু যদি দেখতে পেতাম, হজরত ওমর ফারুক (রাঃ) বললেন দেখতে পাবেন- আপনি আপনার আটা - চাউল বুঝে নিন। মাস কয়েকের খাবার ব্যবস্থা হয়ে গেলো। বললেনÑ এগুলো শেষ হলে আবার এসে নিয়ে যাবেন। বুড়ি অবাক হয়ে গেলো মনে মনে ভাবলো এমন মহান মানুষতো আর দেখিনি। এ সেবক সাব এত ভালো মানুষ। আল্লাহ্ তাঁর ভালো করুক। আচ্ছা, সেবক সাব বলেছিলেন আমীরুল মুমিনীনের সাথে দেখা করাবেন। আমীরুল মুমিনীন হজরত ওমর ফারুক (রাঃ) বললেন -মা, আমীরুল  মুমিনীন আপনার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আমিই সে আমিরুল মুমিনীন।  লজ্জায় মাথা নত হয়ে গেলো এবং বলতে লাগলো হে আমীরুল মুমিনীন, আমাকে মা করুন। আমি আপনাকে চিনতে পারিনি। আমীরুল মুমিনীন বললেন , না মা আপনি আমাকে মা না করলে আল্লাহ্ আমাকে মা করবেন না। কারণ আল্লাহ যখন বলবে হে ওমর, তোমার শাসন আমলে আমার এক বান্দী না খেয়ে সন্তান সন্ততি নিয়ে কষ্ট করছিলো কেন ? তখন আমার উত্তর কি হবে ? আমার অবহেলার কারণে  আপনি কষ্ট পেয়েছেন, আরো আগে  কেন আপনার খবর নিলাম না ? আপনি মা না করলে আমার মা হবে না। তখন মহিলাটি বললো- ইয়া আমীরুল মুমিনীন, এখন  থেকে আল্লাহ্  আপনাকেও কিছু বলবেন না। আমিও বলবো না আপনি খবর নেননি । আপনার মা আপনি পেয়েছেন, আমার প থেকে এবং  মহান আল্লাহর থেকে। কারণ আল্লাহ বলেছেন যার দোষ করবে- সে মাফ করলে আল্লাহও তাকে মা করে দেন। এমনি অসংখ্য দৃৃষ্টান্ত সাহাবায়ে কেরামগণের মধ্যে বিদ্যমান। এমনি ভাবেই সুন্দর ব্যবহার দিয়ে মানুষের মন জয়ের মাধ্যমে সুদূর ইউরোপ, আফ্রিকা পর্যন্ত বিশাল সম্রাজ্যে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন হযরত ওমর ফারুক। ধর্ম বর্ণের কোন প্রশ্ন ছিলোনা, মহান করুনাময় আল্লাহর সৃষ্টির সেবা করেছিলেন তাঁরা। এমনি গুণসম্পন্ন মুমীন মুসলিম উলামায়ে কেরামগণের মাধ্যমে ইসলামী দুনিয়ার সমস্যার সমাধান দেয়া মোটেই অসম্ভব নয়। মুসলমানগণ আল্লাহর অসীম রহমতে বিশ্ব শাসনের মতা রাখেন। ইসলামী জাতি সংঘ না থাকার কারণে বহুরূপি মুসলিম এবং বহুরূপি আলেমগণ বিভ্রান্তিকর কার্যকলাপের মাধ্যমে ইসলামী দুনিয়াকে এক অপর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ইসলামী মহা শক্তিকে দুর্বল করে ফেলেছে। শয়তান এ সুযোগে তার উদ্দেশ্য সিদ্ধি করেছে। ইসলামের ধারক-বাহক, কান্ডারী হলেন ওলামায়ে কেরামগণ সুতরাং উনাদের ঐক্যের এবং উদাসীনতার কারণে ইসলাম তরী আজ পেছনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তরীটি ল্েয পৌঁছাতে পারছে না।

আদর্শ ব্যক্তি

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) ছিলেন মানব কুলে সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্র্শের অধিকারী। আদর্শ সমাজ গড়ার ল্েয ছিলেন শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন। সমাজের ছোট বড় বালক বৃদ্ধ সকলের প্রতি সুন্দর ব্যবহার করতেন। বাচ্চাদের আনন্দ উৎসবে বাধা দিতেন না। একদা ঈদের নামাজ পড়ে যখন নবী পাক (সাঃ) খাসমহলে প্রবেশ করতে ছিলেন , তখন পার্শ্বে ছেলে-মেয়েরা ঈদের আনন্দে নাচ এবং গানের মাধ্যমে আনন্দোৎসব করতে ছিলো। তখন জনৈক সাহাবী বাচ্চাদেরকে নাচ-গান,খেলা-ধুলা, করতে বারণ করলে নবী পাক (সাঃ) মনে কষ্ট পান। তিনি বললেন বাচ্চাদের খেলা-ধুলা নাচ এবং গানইতো ঈদ বা উৎসব। তিনি লেখা পড়ার এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করতেন। সমাজে কোন প্রকার সমস্যা দেখা দিলে সমষ্টিগত ভাবে তা সমাধানের ব্যবস্থা করতেন। সাধারণতঃ উনার আগে-ছোট-বড় কেউই সালাম প্রদান করতে পারতোনা। ছেলেরা নবীপাক (সাঃ) এর চলার পথে আড়ালে প্রথম সালাম দেয়ার ল্েয দাঁড়িয়ে থাকতো। কিন্তু নবীপাক (সাঃ) এতো সর্তক ছিলেন যে, আড়ালে থেকেও সালাম প্রথম দিতে পারতো না কেউ। কারণ নবীপাক (সাঃ) বলেছিলেন, যে প্রথম সালাম দেবে সেই বড় এবং সালামের র্বক্বত লাভের কথাও বলেছিলেন। তাই সালাম দেয়াটা প্রতিযোগিতার মতো হয়ে ওঠে। নবীপাক (সাঃ) কখনও কারো সাথে মন্দ ব্যবহার করেননি। কোন এক সময় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোন এক লোক থেকে টাকা ধার নেয়া হয়েছিলো।ধার প্রদানকারী নির্দিষ্ট সময়ের আগের দিন এসে একটু রাগান্বিত ভাবে বললো আমি আমার টাকার জন্য এসেছি টাকা দিন। নবীপাক (সাঃ) বললেন টাকা দেয়ার তারিখতো আগামী দিন, আজ কেন এলে ? এখন যাও, আগামীদিন এসো। লোকটি চলে যাচ্ছে, ঠিক তখনই হজরত ওমর ফারুক্ব (রাঃ) বললেন ইয়া রাসূলাল্লাহ্, এ লোকটি বড় বে-আদব তাকে একটু শিা দিয়ে দেব কি? নবীপাক (সাঃ) বললেন না-না, সে পাবে বলেই এসেছে, পাবে বলেইতো বলেছে। শান্তভাবে বলুক আর অশান্ত ভাবে বলুক, বলার তার অধিকার আছে। নবীপাক (সাঃ) কখনও অন্যায় ভাবে কারো ওপর রাগ করেননি। সব সময় শান্ত মেজাজের ছিলেন। মক্কা বিজয় হলেও, মক্কাবাসির ওপর প্রতিশোধ নেননি যারা অত্যাচার করেছিলো নামাজ পড়াবস্থায় উটের পাকস্থলী গলে ঝুলিয়ে টেনে ছিল, বিভিন্নভাবে হয়রানি করেছিলো। আবু ছুফিয়ানের বিবি,হানজালা, তখনও ইসলামে দীতি হননি। এমতাবস্থায়, নবীপাক (সাঃ) এর চাচা হামজা (রাঃ) এর, কলিজা চিবিয়ে খেয়েছিলো। যাদের অত্যাচারে অত্যাচারিত হয়ে আল্লাহর হুকুমে মক্কা ত্যাগ বা হিজরত করতে হয়েছিলো। তারা সবই ভেবে ছিলো যে, আমাদের আর রে নেই। কিন্তু না, নবীপাক (সাঃ) তা করেননি। কারণ তিনিই পৃথিবীর, অর্থাৎ বিশ্ববাসির জন্য আল্লাহর রহমত, অর্থাৎ রাহ্ মাতুল্লিল আলামীন। তিনি প্রতিশোধ নিতে পারেন না। মক্কা বিজয়ের পর , নবীপাক (সাঃ) বললেন হে মক্কা বাসিগণ আপনারা মুক্ত; ভয়ের কোন কারণ নেই। নবী পাক (সাঃ) এর প থেকে ঘোষিত বাণীতে মক্কাবাসিগণ আনন্দে আত্মহারা। তখনই দলে-দলে এসে আনন্দে ইসলাম গ্রহণ করতে লাগলো এবং অল্প সময়ের মধ্যে সারা আরব ভূমিতে ইসলাম ছড়িয়ে পড়লো। এটাই নবীপাক (সাঃ) এর আর্দশেরই ফল। তায়েফ বাসিদের বলা হয়েছিলো একক্ সৃষ্টি কর্তার অর্থাৎ আল্লাহর উপাসনা করতে কিন্তু তায়েফ বাসিরা তার বিনিময়ে নবীপাক (সাঃ) এর ওপর ইট-পাথর নিপে করে রক্তে শরীর ,জমিন লালে-লাল করে দিয়েছিলো। তখন আল্লাহর দূত জিব্রাইল (আঃ) এসে বললেন, আপনার আদেশক্রমে দু-দিকের পাহাড় এনে তায়েফ বাসিদেরকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে চাই। তখন নবীপাক (সাঃ) বললেন, না-না তা হয় না। তারা আমার সম্পর্কে বুঝতে পারেনি। তাদের মাটির সাথে লীন করে দিলে, আমি আমার দোস্তের দ্বীনের দাওয়াত কাকে দেবো ? আমি তাদেরকে মা করে দিলাম। এ বাণী বা উক্তি কার কাছ থেকে আশা করা যায় ? তাঁর নিকট থেকেই আশা করা যায়, যিনি শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্বের এবং আদর্শের অধিকারী। তাঁর জীবনে এমনই অসংখ্য ঘটনা রয়েছে। সর্ব শ্রেষ্ঠ ধৈর্য্য - সহ্যের অধিকারী যিনি তিনিই নবীপাক (সাঃ)।তাঁর আদর্শের প্রভাবে প্রভাবিত হয়েছিলো সারা বিশ্ব এবং অতি অল্প সময়ে এক বিশাল আদর্শ ইসলামী রাষ্ট্র গঠনে সম হয়েছিলেন এবং তাঁর সঙ্গি-সাথী অর্থাৎ সাহাবাগণও তাঁর আদর্শে আদর্শবান হয়ে ইসলামী বিশ্ব শাসন করে গিয়েছেন।আজ সেই নবীপাক (সাঃ) এর আদর্শের প্রভাবে প্রভাবিত ব্যক্তিত্বের অধিকারী ব্যক্তির অভাবই পরিলতি হচ্ছে। একে অন্যকে আনন্দ বা শান্তি দান করা, সালাম প্রদান করা ইবাদাত এবং সেবামূলক কর্ম ও বটে। নবীপাক (সাঃ) সর্ব প্রথম সালাম প্রদান করে এটাই বুঝিয়েছেন যে, তোমরা সর্ব প্রথম সালাম প্রদান করো। অর্থাৎ তার মঙ্গল কামনা করো। দেখবে অন্যরাও তোমার মঙ্গল কামনা এবং সম্মান প্রদর্শন করছে। এ সকল শিা থেকে আমরা বঞ্চিত কারণ আমাদের পরিচালকগণের মধ্যে এধরণের সুন্দর আদর্শগত ইবাদাত পরিলতি হচ্ছেনা। আমাদের সাধারণের মধ্যে যেমন পূর্ণ মাত্রায় রয়েছে লোভ-অহঙ্কার ,হিংসা -বিদ্বেষ -মোহ এবং কুপ্রবৃত্তি ইত্যাদি; তেমনি অর্থাৎ ইসলামের বাহক যাঁরা তাঁদের অধিকাংশের মধ্যেও তা বিরাজমান।

মুসলমান মন্দ কর্ম করতে পারে না কেন

কোন মুসলমান মন্দ কর্ম করতে পারেনা এ জন্যে যে, তারা দৈনিক পাঁচ বার ওজু করতঃ পবিত্রতা গ্রহণান্তে আল্লাহর সাাতে দাঁড়িয়ে যায় এবং নিয়মানুযায়ী রুকূ-সেজদায় তার প্রশংসা বর্ণনান্তে দু-হাত উত্তোলনের মাধ্যমে আবেদন করেন। আল্লাহ সে আবেদনানুযায়ী ফলাফলও প্রদান করে থাকেন।
বাণীগুলো হচ্ছে ঃ বিসমিল্লাহিল আলীইল আজীমি- ওয়াল্ হামদুলিল্লাহি আলা দ্বীনিল ইসলামি- আল ইসলামু হাক্কুনÑ ওয়াল কুফরু বাতিলুন, আল ইসলামু নূরুন, ওয়াল কুফরু জুলমাহ্।
সর্বশক্তিমান আল্লাহর নামে শুরু এবং ইসলামের নীতি নিয়মানুযায়ী সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্যে। ইসলাম সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং পথভ্রষ্টদের পথ বাতিল। ইসলাম আলোকময়, ইসলাম একটি শান্তিময় আলোর নাম এবং ভ্রষ্টদের পথ অন্ধকারময়।
সর্বশক্তিমান আল্লাহর নামে শুরু- এ বাক্যটি উচ্চারণের উদ্দেশ্য হলো আমার মালিক স্রষ্টা পরম পবিত্র। সুতরাং আমিও নির্ভুল পবিত্র হতে চাই। ইসলামের নীতি নিয়মানুযায়ী সকল প্রশংসাই মহান আল্লাহর জন্য এবং আমি আল্লাহর প্রশংসা বর্ণনা করবো। নীতি বহির্ভূত প্রশংসা আল্লাহ পছন্দ করেন না। বলা হয়েছে ঃ ফাওয়াই লুল্লিল মুসাল্লিন; অর্থাৎ সে সকল নামাজিদের দুর্ভোগ। অর্থাৎ নীতি বহির্ভুত নামাজ পড়লেও তাকে সাজা ভোগ করতে হবে আমি আলোকিত হবো এবং আলোতে মিশে যাবো। এবং কুফরুনÑ অন্ধকারাচ্ছন্ন ভ্রষ্টদের পথ সম্পূর্ণভাবে চিরতরে পরিহার করবো। মহান দরবারে হাজির হয়ে দৈনিক পাঁচ বার উক্ত বাণীগুলো উচ্চারণের মাধ্যমে পবিত্রতা গ্রহণ করা হয়। যে দৈনিক পাঁচবার মালিকের সামনে উক্ত বাক্যগুলো উচ্চারণ করবে, তার পে পাপ করা কি সম্ভব? হ্যাঁ ভুল হতে পারে, কারণ আজাজিল শয়তানতো ভুল করানোর জন্যেই  পেছনে লেগে আছে। তাই “আউজু বিল্লাহিমি নাশশাইতা নিররাযীম” উচ্চারণের মাধ্যমে শয়তান হতে মহান আল্লাহর আশ্রয় কামনা করতে হয়। করুণাময় আল্লাহ মাকারী এবং রাকারী। সুতরাং একজন মুসলমানের পাপ করার সুযোগ কম।
একজন মুসলমান যখন ক্বোরআন শরীফ পাঠ করতে বসে প্রথমে সে “আউজু বিল্লাহি মিনাশ শাইতা নিররাযীম” পাঠ করে। উক্ত বাক্যটি পাঠ করার উদ্দেশ্য হলো শয়তানের শয়তানী কর্মকাণ্ড থেকে মহান আল্লাহর আশ্রয় কামনা করা। যেন সে শয়তানের প্রভাব মুক্ত থাকে, শয়তান কর্তৃক প্রভাবিত না হয়। উক্ত বাক্য, কায়মনো বাক্যে আবৃত্তির দ্বারা যদি একজন লোক শয়তানের অশুভ কর্মকাণ্ডের প্রভাবমুক্ত হয়, সে ব্যক্তিটি সমাজের মধ্যে একটা অলঙ্কার হয়ে উঠে। সে সমাজের মধ্যে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, সুতরাং তার অনুকরণে গোটা সমাজই আলোকিত হতে পারে। মহাগ্রন্থ আল কোরআনের প্রভাবে সমাজকে প্রভাবিত করতে হলে সংগঠনের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করতে হবে। এক একজন করে যদি সমাজে আলোকিত হয়ে ওঠে তবে গোটা সমাজই আলোকিত হয়ে যাবে। তখন মন্দ কাজ করার লোক আর থাকবে না। তখন সমাজটাই স্বর্গীয় সুখানুভব করবে। একটা মুমীন মুসলমান যেখানে থাকে সেখানে মন্দ থাকতে পারে না। সে তার সুন্দর ব্যবহার দিয়ে সমাজকে জয় করতে পারে। একজন মুসলমানের দেহ মন সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত তাই তার দ্বারা মন্দ কর্ম হতে পারে না। নবীপাক (সাঃ) এর একটি ঘটনার কথা মনে পড়লো। একদা এক ব্যক্তি নবীপাক (সাঃ) এর নিকট এসে বললো “ইয়া রাসূলাল্লাহ্, আমি আমার চুরির অভ্যাস পরিহার করতে পারছি না। কি করলে তা পরিহার করা যাবে?” নবী পাক (সাঃ) বললেন, “তুমি দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে”। তখন লোকটি বললোÑ ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (সাঃ) আমি সব করতে পারবো কিন্তু চুরি বন্ধ করতে পারবো না। নবী পাক (সাঃ) বললেন, ঠিক আছে তুমি দৈনিক একবার আমার সাথে দেখা করবে এবং সত্য কথা বলবে। লোকটি সে দিন চলে গেলো কিন্তু সে নবী পাক (সাঃ) এর সাথে নিয়মিত এসে দেখা করে যেতো। একদা চুরির নেশা হলে লোকটি চুরি করতে যায়। তখন নবী পাক (সাঃ) এর কথা মনে পড়লে ভাবলো যে আগামী দিন আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এর নিকট যখন দেখা করতে যাবো তখন কিভাবে বলবো যে ইয়া রাসূলাল্লাহ আমি চুরি করেছি। এমন সত্য কথা সে বলতে পারবে না। তখন তার  বিবেক বাধা দিলো। সে ভেবে চিন্তে স্থির করলো সে চুরি করেছে এ সত্য  কথা বলতে পারবে না। মিথ্যেও বলা সম্ভব হবে না। অবশেষে সে চুরি কর্ম ছেড়ে দিলো। মুমীন মুসলমানগণ মহান আল্লাহর দরবারে দৈনিক পাঁচবার প্রতিজ্ঞা করে সত্য রা করবে, মিথ্যে পরিহার করবে। সুতরাং তাদের দ্বারা মন্দ কর্ম করা মোটেই সম্ভব নয়। তারা ধর্মের উপদেশগুলোতে প্রভাবিত হয়ে পবিত্র হয়ে যায়। বর্তমানে প্রকৃত মুমীনগণ যেন ঘুমোচ্ছে। তাই ইসলামী তরীর, পাল- বৈঠা উল্টো বলে পরিলতি হচ্ছে।

শিশু নবীর সেবাকর্ম

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলাম। কোন ব্যক্তির নামানুসারে এ ধর্মের নামকরণ করা হয়নি। যেমন ঈসা (আঃ) এর নামানুসারে ইসায়ী ধর্ম বলা হয় এবং বুদ্ধের নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে বৌদ্ধের ধর্ম বা বৌদ্ধ ধর্ম। ইসলাম ধর্মের নাম শান্তি, কর্মও শান্তির। এ ধর্মানুসারিগণ অন্যায়- অত্যাচার অনধিকার চর্চা কখনও পছন্দ করে না। এ ধর্মের মহাগ্রন্থের নাম হচ্ছে ‘আল কোরআন”। এ মহাগ্রন্থটি শুধু মুসলমানদের জন্য নয়। স্রষ্টার সৃষ্টকূলের ল্েয এ গ্রন্থ অবতীর্ণ হয়েছে। সৃষ্টির সেবা হচ্ছে এ ধর্মের বিশেষ উপাসনা অর্থাৎ ইবাদাতগুলোর মধ্যে একটি। সৃষ্টির সেবাই এ ধর্মের মূল ল্য। বিশ্ব মানবকূল যখন মানবীয় দায়িত্ববোধ হারিয়ে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়, তখনই গোম্রাহদেরকে আলোর পথ প্রদর্শনের জন্যেই মহামানবদের আগমন ঘটেছে এ বিশ্বে। তেমনি গভীর অন্ধকার যুগে, মানবতার মুক্তির দূত মহানবী হযরত মুহাম্মদ আহমাদ (সাঃ) পৃথিবীতে আগমন করেন।
নবীপাক (সাঃ) এর প্রথম সেবা কর্ম প্রকাশ পায় যখন মাতা হালীমা (রাঃ)’র দুগ্ধ পানে রত হন।  মাতা হালীমা (রাঃ) কয়েক বার ল্য করেছেন যে, নবী পাক (সাঃ) বাম পার্শ্বের দুগ্ধ পান করেন না। মাতা হালীমা (রাঃ) একাধিকবার চেষ্টা করেও বিফল হলেন। যত দিন দুধ পান করানোর নিয়ম ছিলো প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত একটি বারের জন্যও  নবীপাক (সাঃ) বাম পার্শ্বের দুগ্ধ স্পর্শ করেননি। মা হালীমা (রাঃ) চিন্তার পর বুঝতে পারলেন, মুহাম্মদ (সাঃ) বাম পার্শ্বে দুগ্ধ কেন পান করেননি। মা হালীমা (রাঃ)’র স্বীয় গর্ভজাত একটি সন্তান ছিলো। শিশু নবীপাক (সাঃ) উক্ত দুধভাইটির জন্য বাম পার্শ্বের স্তনটি রেখে দিতেন। এটি মানব সেবার এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত। দুগ্ধপোষ্য শিশু নবী মুহাম্মদ (সাঃ) মর্ত্যে পদার্পণ লগ্ন থেকেই মানব সেবার নজির স্থাপন করলেন। আমি খাবো- তুমি খাবে না, তা হবে না- তা হবে না। আমরা কি তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করি? তাঁর পদাঙ্ক থেকে অনেক দূর, দূর থেকে দূরান্তরে, রেখেছি নিজেকে সরিয়ে। পথহারা, মোরা পথিক বর। হয়ে দিশেহারা, চলছি মরুর চর।

দুর্দম

দুর্বার-দুরন্ত-দুর্দম ঊর্মি,
উত্তপ্ত-পুড়ন্ত রুদ্র ঘূর্ণি।
আমি উচ্ছল চঞ্চল কর্মী-
উগ্র বজ্র আঁখি রাগি ধর্মি।
আমি জয়-নয় পরাজয়,
নেই লয়, করি ল্য বিজয়।
বজ্র বাদল নিনাধ ধ্বনি,
নিমেশে জাগাই লৌহ খনি।
ধমকে টুটে লৌহ শিকল,
অসূর কল সব বিকল।
ফুঁসি উচলে ভাসাই কূল,
চলি পথে নির্ভিক নির্ভুল।
উপড়ে কূড়ে কন্টক কূল,
সবি দূরি পরগাছা মূল।
উতলোচ্চল-স্বজলোর্মি,
নির্মলাগ্নি উন্মত্ত ঘূর্ণি।

উল্টো পালের তরী

ভোরের নামাজান্তে পাটিতে বসে যখন বাইরে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলাম, তখন দূরের নদীতে একখানা পালের তরী আমার মনোযোগ কেড়ে নিলো। পলকহীন দৃষ্টিতে চেয়ে দেখলাম, তরীটির পাল এবং বৈঠা দুটোই উল্টো। মাঝিবিহীন তরীটি ঢেউ তরঙ্গের তালে-তালে এলো মেলোভাবে পেছনের দিকেই চলছে।

সেটি রুখছে না কেউ, নেচে চলেছে হাওয়ায়। চালক বিহীন তরীটি কোথা গিয়ে তলিয়ে যায় কাটে সময় ভাবনায়। তরীটির নাম শান্তির তরী, কেউতো রাখেনি তার পাল বৈঠা ধরি। মাঝি মাল্লা নেই তায়, নীর পাকে নিতে চায় অতল জলের তলায়। নিচ্ছে টেনে উল্টো পালে পেছন দিকে তায়। এমন কথা ভাবছি বসে, কলম ধরে কসে। এমন কেন এ তরীর হাল? লড়ছে তরী হাওয়ার সনে, লড়ছে তরীর পাল। হয়তো মাঝি নিদ্রায় বিভোর, তাই খুলেনি নিদ্রা দোর। শুনবে না ডাক অনেক দূর, গভীর জলের সমুদ্দুর। শুনবে নাতো বাঁশির সূর, থাকি আমি বিজনপুর। চলছে তরী এলোমেলো, মাঝির খবর নাই। গভীর নিদ্রায়  নিদ্রা গেলো, মাঝিরা সব তাই। আসছে আবার নীলাকাশে আঁধার রাতের ঘোর, তলিয়ে নিতে পাক বাতাসে টানছে নীচে জোর। তাই বুঝি তাই তরীর হাল, উল্টো বৈঠা তরীর পাল। ডুবু-ডুবু তরী হায়, ডুবিয়ে দেবে জঞ্জা বায়।

এ তরী যে শান্তির ধর্ম সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলাম নামে আখ্যায়িত। স্রষ্টা হতে জেনেছি ধরা-ধামে আর কোন ধর্মের আবির্ভাব ঘটবে না। ভাবের তরী হতে উঠে চললাম, চেতনার জগতে সংগ্রামী জীবনের দিকে। মাঝিগণের ল্েয, পত্র পটে কিছু কথা লিপিবদ্ধ করতে, কলম তুলে নিলাম হাতে।

ইসলামী দুনিয়ার দিকে যখনি দৃষ্টি নিপ্তি হলো, তখনি কল্পলোকের উল্টো পালের তরীটি মন-সায়রে ভেসে উঠলো এবং বললো এ বিশ্বে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) যে শান্তির পথে চলার নির্দেশনা দিয়ে গেছেন, সে পথে না গিয়ে উল্টো দিকে দ্রুত ধাবিত হচ্ছে শান্তি তরীটি, ইসলামের তরীটি।

সমাজে ধর্মের প্রভাব

ইক্বরা, মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর বিশেষ দূত জিব্রাইল (আঃ) এর মাধ্যমে মর্তে আগত প্রথম মহাপবিত্র বাণী। এর অর্থ হলো পড়ো।
উদ্ধৃত বাক্যটি আদেশ সূচক। অর্থ- যিনি সৃষ্টিকর্তার নাম প্রথমে লাও অত:পর পড়ো। জিব্রাইল (আঃ) নিজে বিসমিল্লাহ উচ্চারণ করেননি। আল্লাহ পাক জিব্রাইল (আঃ) এর মাধ্যমে ঐ বাণী নবী পাক (সাঃ) এর মূখ মোবারকের মাধ্যমে উচ্চারণ করিয়ে নিতে উক্ত লাইনটি প্রেরণ করেন। তাই নবী পাক (সাঃ) এর মূখ মোবারকের মাধ্যমে পড়ার আগে অর্থাৎ প্রথমে বিসমিল্লাহ্ উচ্চারণ করেন। অর্থাৎ মহান আল্লাহর নামে পড়া শুরু করলাম যিনি সৃষ্টিকর্তা। মহান আল্লাহ নবী পাক (সাঃ) এর পবিত্র মূখ মোবারক থেকে প্রথম বিসমিল্লাহ উচ্চারণ করিয়ে, পবিত্র আল কোরান নাজিলের সূচনা করলেন। নবী পাক (সাঃ) প্রথম আল্লাহর নাম পাঠান্তে কোরআন তেলাওয়াত শুরু করেছিলেন। তাই ক্বোরআন শরীফের প্রত্যেকটি সূরার প্রথমে বিসমিল্লাহ উচ্চারণের রীতি শুরু হয়েছে। এর তাৎপর্য হচ্ছে আল্লাহর নামে যা শুরু হবে তা নির্ভুল কলূষমুক্ত হবে। তাই পবিত্র ক্বোরআনের প্রথমে বিসমিল্লাহর পরে “জালিকাল কিতাবু লা রাইবা ফিহ” অর্থাৎ এ গ্রন্থ নির্ভুল, কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। তাই প্রত্যেক মুসলমানকে সকল মঙ্গল কর্মের প্রথমে বিসমিল্লাহ উচ্চারণ করতে হয়। ব্যক্তি এবং সমাজকে বিশুদ্ধ করার ল্েয “বিসমিল্লাহ্” অতুলনীয় উপাদান। বিসমিল্লাহর উচ্চারণের অর্থ হলো, যে কর্ম সে আরম্ভ করেছে, উক্ত কর্ম বিষয় মহান স্রষ্টা আল্লাহকে সাী করলো। যে কর্মে আল্লাহকে সাী রাখা হয় উক্ত কর্ম নিঃসন্দেহে মঙ্গলজনক। যে জাতির আল্লাহ, রাসূল এবং মহাগ্রন্থ নির্ভুল সত্য সে জাতি নির্ভুল মহা পবিত্র নয় কি? নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই সে জাতি নির্ভুল মহা পবিত্র এবং চির স্বর্গবাসি। তারাই মুসলিম জাতি, জ্বালিয়েছে তারা শান্তির বাতি। আল্লাহ্ এবং নবীকে রেখেছে হৃদয়ে গাঁথি। তারাই পবিত্র মুসলিম জাতি।

বি-টাইগার

চল ছুটে চল
চল ছুটে চল
চল ছুটে চল চল।
চল ছুটে চল ক্রিকেট খেলি
আমরা টাইগার দল ॥

ছক্কাতে ধর উঠুক হেলি,
হৌক অরিদের কল বিকল।
আর সবাকে পিছে ফেলি,
মারব ছক্কা লাগাই বল,
নেই আমাদের দল-বদল
খেলতে মাঠে আয় সকল ॥

ঘূর্ণি বায়ের হুঙ্কারে,
ডাকছে টাইগার শুন কারে
ব্যাটের মারের ঝঙ্কারে
হারিয়ে দেব ভাই তারে।
বজ্র বেগে ছুট ছুটে চল
থাকতে বাহুর শক্তি বল॥



আমরা সকল বাংলাদেশী,
নেইকো হিংসা দ্বেষ
নেই আমাদের রেষা-রেষি
বাংলাদেশী সকল খেশ।
ক্রিকেট খেলি অহর নিশি,
নেই সুনামের শেষ।
হরেক রঙে নিত্য মিশি,
নির্মুল হাসীন মোদের দেশ।
দেখবে যদি আয়রে ছুটে,
খেলতে খেলায় রই অটল ॥

হয় না মোদের পিছে টান,
প্রতি বলে করব রান।
ডাকবরে চল রানের বান,
গাইতে গাইতে জয়ের গান,
গানের সুরে উঠুক কেঁফে,
আকাশ-পাতাল গগনতল ॥

করব মোরা বিশ্ব জয়,
সকল বাধা করি নয়।
থাকবে সুনাম অয়,
না হবে না মোদের য়।
উল্কা বেগে ছুটব চল,
ধরব সকল ক্যাচের বল
বল ধরিতে রই সবল
তাই খুশিতে টলমল
আর দেরি নয় আয় খেলি
আয়রে টাইগার দল,
কইরে তোরা কই গেলি
চল ধরি চল বল।

আলোক বিন্দু

কত বিন্দু মিলে হল
সূর্য রশ্মি ঐ
ঐ রশ্মিতে দেখব চল,
তারা শশি কই।

বিন্দু হিসেব করতে বসি,
ক্যালকুলেটর লই
যত বারে অংক কষি,
বেমিল খাতে রই।

করছে কিনা হিসেব কভু
আছে কি তা জানা?
জিজ্ঞাসি তা আমি হবু
সবই করে মানা।

বিন্দু আলো গুণতে চল,
সখা-সখী-সই
হিসেব খাতার পাতা খোল
সাথে নিয়ে বই।

রক্ত ঝরা

শহীদগণের রক্তে গড়া,
দিনটি একুশ বড়ই চড়া
শোক বেদনায় কাঁপছে ধরা,
কইরে তোরা আয়রে তরা।
পরব কাফন বেদন ভরা,
তাঁদের পথের কাঁটা সরা।
আমরা তাঁদের সাথীগণ,
করব স্মরণ করি পণ।
ফুলের মালা করি গঠন
ফুল দানিব করি যতন
চির অমর শহীদগণ।
তাদের কভু নেই মরণ
করি তাঁদের শোক বহণ;
তাঁরা মোদের ধন রতন
আজকে একুশ রক্ত ঝরা,
জাগরে ভোরে জাগরে তোরা,
চল মিনারে ডাকছে ওরা;
যাদের পথে চলব মোরা।

সাথের চোর

                দৃষ্টি যেন যায়না তোর,
                    অন্য কারো ভাত পাতে।
                মনে আছে মনের চোর,
                    শুন্তে কথা কান পাতে।
                অন্ধকারে চোর চলে,
                    তোর থলেতে হাত দিতে।
                সুযুগ দেখে চোরের দল,
                    থল থেকে তোর সব নিতে।
                নিত্য থাকিস্ স্বচেতন,
                    উড়াই তব জয় কেতন।
                পারবেনা আর চোরের দল,
                    ভাংতে কভু মনের বল।
                সাবধানে চল চলার পথে,
                    বিঁধেনা যেন্ কাঁটা রথে।
                রয় যে নিত্য হুঁশিয়ার,
                    হারায় তাকে সাধ্য কার?
                তার তরে সব মুক্ত দ্বার,
                    নেই বাধা তার পথ চলার।
                গুণির কথা যে মানে,
                    তার কাছে চোর হার মানে।
                স্রষ্টা সাথে থাকলে তোর,
                    ভোরেরাগে ভাগবে চোর।
                বন্ধ রেখে থলের দোর,
                    চেতন থাকিস্ দিন রাতে।
                পারবেনা আর নিতে চোর,
                    যদিও সে তোর সাথে   

পলক ঝড়

    ফলন গাছের ফল্লে ফল,
                    পাক্লে মুখে আসে জল।
                জল আসেনা কচি ফলে,
                    ঢোক আসেনা শুকনা গলে।
                ফল দোলে ঐ শাখায় শাখায়,
                    মালিক খুশি কানায় কানায়।
                পাকবে কখন ফলন ফল,
                    ভাব্ছে লয়ে কাঁটার নল।
                আসবে কখন ঝড় পবন,
                    ভাবেনিতো অবোধ মন।
                ফলের খুশি অন্তরে,
                    তাই খুশিতে সন্তরে।
                পলক ঝড়ে পড়ে ঝরে,
                    ব্যথা ভরে তোলে ঘরে।
                পাকার আগের ঝরার ফল,
                    দিলো টুটে খুশির নল।

জনক নায়ক

বাংলাদেশের জনক নায়ক
মুজিবুর রহমান
সকল লেখক শিল্পী গায়ক
গাও সবে গাও গান।

বাংলাভাষি বাংলাদেশী
নেই কোন নেই দ্বেষ,
নেই এথা নেই হিংসা রেষি
সব সবে সব খেশ।

মানবতার রুজ্জু ধরি
পায় দলে যাই সকল অরি,
অগ্রে চলি স্রষ্টা স্মরী
হায়নাদেরে নাহি ডরি।

যুদ্ধ করি রাখতে মান
অরি অসি করি খান,
বোরাক বেগে যায় জোয়ান
জয় করিতে ধরাসমান।

মুজিব মোদের অগ্র নায়ক
গাওরে গুন গান,
চল সবে চল লেখক গায়ক,
    ঊর্ধ্বে উড়াই জয় নিশান।

বুধবার, ২২ মে, ২০১৩

অলক্ষ্যে




            বুদ-বুদিরা যাচ্ছ ভেসে,
                কুন ঠিকানায় হেসে হেসে?
            যাচ্ছ কোথা কিসেরাশে,
                ল্য কি সেই মুক্তিরাশে?

            মুক্তি পেয়ে মুক্ত হবে,
                তবেই বুঝি শান্ত রবে?
            কুন ঠিকানায় মুক্তি পাবে,
                কুন ঘাটে সেই তরী যাবে?

            জানবে বুঝি সব শেষে,
                গেলে কোথা কুন দেশে?

খোকার কথা

            চল টিয়া ভাই স্কুলে,
                খেলার শেষে ঝুল্ ঝুলে।
            আব্বু গেছে বাজারে,
                মা বসে ঐ ধান ঝারে।

            ও শিয়াল ভাই যাচ্ছ কই,
                মোরগ ধরার র্শিকল লই?
            নাই তোমাদের লেখাপড়া,
                করবে কি আর দিয়া ছড়া?

            মোরগ চুরির কড়া নাড়া,
                ঘুরে ঘুরে পাড়া পাড়া।
            আমি কিন্তু শিয়াল নয়,
                নিত্য আমায় পড়তে হয়।

            তাই সদা যাই স্কুলে,
                খেলার শেষে ঝুল্ ঝুলে।

প্রাপ্ত সংকেত

যারা মুসলমান রূপধারণ করে, মুসলমান সমাজে প্রবেশ করে, মুনাফিকী-নিমকহারামী, ধোকাবাজী, সত্য অসত্য বাণী প্রচার এবং লেখার মাধ্যমে মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে তাদের হতে সাবধান।
“ইসলাম প্রবেশিকা” নামে হিন্দী ভাষায় প্রকাশিত একটি বই আমার হাতে এসেছে। আমি হিন্দী ভাষায় একটু পড়তে জানি, তাই তা হাতে পেয়ে পড়ে দেখলাম। উক্ত বইটিতে ইসলামের পরিচিতি তুলে ধরতে চেয়েছেন। তাতে দেব-দেবতা, ঈশ্বর-শব্দকে আল্লাহ্ শব্দের সাথে তুলনামূলকভাবে যেভাবে দেখানো হয়েছে, তাতে দেব-দেবতা-ঈশ্বরের প্রাধান্যতা বেশী ল্য করা যাচ্ছে। যেখানে আল্লাহ্ এবং ঈশ্বর শব্দকে সমক দেখানো হচ্ছে, সেখানে মহান আল্লাহর প্রধান্যতা কোথায়?

“আল্লাহ্, যিনি তিনি ঈশ্বর নন।” ঈশ্বরের প্রতি শব্দ ঈশ্বরী রয়েছে কিন্তু, ‘আল্লাহ্’ শব্দের প্রতিশব্দ নেই। তিনি একক সর্বশক্তিমান। তাঁর ওপর আর কোন শক্তি নেই।

বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাংবাদিকগণের সহযোগিতায় বাংলাদেশ অবজারভার পত্রিকায় প্রচার করে তা থেকে প্রতিবাদক পত্রিকা সরাসরি রিয়াদে পাঠানো হয়।

মুসলমানদের মধ্যে আজাজিল গ্রাসিভ্রষ্টগণ চোখ থাকতে অন্ধ হয়ে, আক্বল এবং বিবেকহীনগণ মুসলমানদের মূল ভিত্তি ইমানী শব্দ কালেমায় এবং মহাপবিত্র কালামে পাকের ওপর আঘাত হেনেছে।
সর্বস্রষ্টা আল্লাহর শানে বেয়াদবী করেছে। যেমন- মহান আল্লাহর প্রেরিত একমাত্র মহাপবিত্র ক্বালামে পাকের নাম পরিবর্তন করে “হামায়েল শরীফ” নামে নামকরণ করা হয়েছে। যাহা অমার্জনীয়  অপরাধ।

শব্দ পরিবর্তনঃ সূরা ইউনুসের ১নং আয়াতের মধ্যে (হাকীমের) স্থানে “হাকাইকীম” দেখতে পেলাম।

সূরা তাওবার ঃ ৬৯নং আঁয়াতে, “হাবিতোয়াত” এর স্থানে “হাতাবিত” বিভিন্ন জায়গায় জবরের এর স্থানে জের এবং নোক্তা এলোমেলোভাবে দেখতে পেলাম। সব ক্বোরআন শরীফে নয়। ছাপা ভুল হতে পারে কিন্তু শুদ্ধি করণ হয়নি কেন? অবহেলা বা উদাসিনতার কারণ কি? কেন উদাসিনতা? স্রষ্টার সৃষ্টি জগতে শ্রেষ্ঠ গ্রন্থে? এ মহাগ্রন্থ ছাপাতে গিয়ে অবহেলা বা উদাসিনতা অমার্জনীয় অপরাধ। কেন এমন হচ্ছে? সম্মানিত ওলামায়ে কিরামগণ ল্য করলে অসংখ্য ভুল দেখতে পাবেন। ছাপা ভুল বলে ছাড়বেন না। আল্লাহর দরবারে দায়ী থাকবেন যারা এ মহাগ্রন্থের প্রতি অবহেলা করবেন। যা একটি পরিপূর্ণ সর্বময় সর্বেেত্র সর্বাবস্থায় মহান স্রষ্টার মহা সৃষ্টি অপরিবর্তনীয় একটি মহা চিকিৎসা বিজ্ঞান। ব্যীক্ত জীবনে পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ভেতর বাহের এ জগতের এবং ওজগতের বিষয় সম্পর্কে পরিপূর্ণ নির্দেশনা এবং সকল সমস্যার সমাধান বর্তমান রয়েছে। এমন একটি মহাগ্রন্থকে ছাপা ভুল বলে চালিয়ে দেয়া আর একটি মহাভুল নয় কি? এ ভুলের জন্য মানুষের নিকট এবং মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর নিকট দায়ী থাকবেন। ওদের জন্য আল্লাহর আদালতে মহাশাস্তি অপেমান। উদ্ধৃত বিভ্রান্তকারীগণ মুসলমানদেরকে বিভ্রান্তির পথে ঠেলে দিয়ে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

এখনও সময় আছে বিশেষ সম্মানিত নায়েবে রাসূলগণ ওলামায়ে কিরামগণ, আপনারা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের বিশেষ সৈনিক। কাল বিলম্ব না করে বিশেষ সতর্কতার মাধ্যমে। নিজেদের মধ্যে ছোট খাটো বিভেদ ভুলে যেমন এক ইমামের পেছনে ঐক্যবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে যান।  অর্থাৎ ফরজ নামাজ আদায়ের ল্েয সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করা হয়। ঠিক তেমনিভাবে আল্লাহ্ এবং রাসূল (দঃ) এর স্মরণিকা অন্তরে গেথে ঈমানি অস্ত্র নিয়ে ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহুর অর্থাৎ ওয়াহদা নিয়াতের ঝান্ডাতলে সদা সতর্কতাবলম্বন পূর্বক মুনাফিক্ব নিমকহারাম, ভ্রষ্টদের এবং অন্ধকারে বিচরণকারীদের আক্রমণ প্রতিহত করুন।

মহান করুনাময় আল্লাহ্ আপনাদের সাথেই আছেন।  (নাছরুমমিনাল্লাহি ওয়াফাত্ হুন ক্বারীব) আল্লাহর প থেকে আপনাদের জন্য সাহায্য এবং জয় নিকটবর্তী করে রেখেছেন)। দায়িত্বে অবহেলার জন্য কঠিন শাস্তির ঘোষণাও রয়েছে। এ বিষয়ে আপনারাই ভাল বা বিশেষভাবে অবগত আছেন। আল্লাহর দ্বীন-আল্লাহ রা করবেন কিভাবে?

সম্মানিত নবী এবং রাসূলগণের দ্বারা তাঁর দ্বীন তাঁর জমিনে ক্বায়েম করেছেন। ঠিক তেমনিভাবে সম্মানিত নায়েবে রাসূল এবং ওলামায়ে কিরাম ও মুমীন মুসলমানগণের মাধ্যমেই তাঁর দ্বীন ক্বায়েম রাখবেন। আমি রজনী প্রহরীর মত গভীর অন্ধকারে মাঝে মধ্যে বা কখনও কখনও মৌখিক এবং লেখার মাধ্যমে হুইশেল বাজানোর মত কিছু বাক্য ব্যয় করছি মাত্র। নবী প্রতিনিধি ওলামায়ে কিরাম এবং মুসলমান ভাইগণকে সতর্ক করে যাচ্ছি।
সে পূর্ব ঘোষিত মহামানব ইমাম মাহদী (আঃ) অগ্রগতির পথে বাধা দানকারী আক্রমণাত্মক কুকুরদের প্রতিহত করার ল্েয মৌখিক এবং লেখার মাধ্যমে প্রতিবাদের ঢিল নিপে করে প্রতিহত করার চেষ্টা করছি।
আপনারা নায়েবে রাসূল ও ওলামায়ে কিরামগণ আল্লাহর মহা পবিত্র সৈনিকরূপে একযোগে দায়িত্বে অবতীর্ণ হোন মুনাফিক নিমক হারাম কাফিরের ঘেউ-ঘেউ রব বন্ধ করুন। 

নিদ্রা প্রদর্শন

মুনাফিক নিমকহারাম ধোকাবাজ মিথ্যুক এবং ভ্রষ্টদেরকে মহান আল্লাহ কুকুরাকৃতি প্রদর্শন করিয়েছেন। আমি তাদের ঘেউ ঘেউ রবে ভিত না হয়ে তাদের ভয় প্রদর্শন করার ল্েয তাদের প্রতি ঢিল নিপে করতে প্রদর্শিত হয়েছি। মহা প্রলয় দিনে তারা কুকরাকৃতি প্রদর্শিত হবে।
বিশেষ সঙ্কটাপূর্ণ বন্ধুর পথ সহজে অতিক্রমের নির্দেশনাবলি, বিভ্রান্ত- চক্রান্তকারী কুচক্রি আজাজিল চক্র সঙ্কট শক্তির বিশেষ নির্দেশনাবলি পত্র আদম (আঃ) হতেই যুগে যুগে প্রত্যেক ক্বাওম বা জাতির মধ্যেই মহান স্রষ্টা আল্লাহর প থেকে প্রেরণ করা হয়েছিল। ডাক্তারগণ যেমন তাঁদের দেয়া ব্যবস্থা পত্র পরিবর্তন পরিবর্ধন করে থাকেন, তেমনি মহান আল্লাহ তাঁরই নির্দেশনা পত্রের মধ্যে পরিবর্তন পরিবর্ধন করে থাকেন এবং করেছেন। মানব মুক্তির ল্েয সর্বশেষ ব্যবস্থা পত্র হিসেবে পরিবর্ধিত পরিবর্তিত মহাগ্রন্থ “আল ক্বোরআন” শরীফ প্রেরণ করেন। এ সর্বশেষ মুক্তির বাণী “আল ক্বোরআন” অনুসরণ-অনুকরণের মধ্যেই মুক্তি অবধারিত এর বিকল্প নেই। এ মহা সঙ্কটাপূর্ণ পথ অতিক্রমরতাবস্থায় এ অতিআশ্চর্য্য জগত মানবের মুক্তির জন্য শেষ ব্যবস্থাপত্র “আল ক্বোরআন” শরীফ। পৃথিবীতে আর কোন ব্যবস্থাপত্র আসবে না।
শেষ পত্র বাহক হিসেবে নবী মুহাম্মদ (দঃ) ই শেষ নবী। তাই শেষ নবী মুহাম্মদ (দঃ) এর মাধ্যমে আগত মহাগ্রন্থ আল ক্বোরআনই প্রেরিত হয়েছে। এটাই সর্বশেষ ব্যবস্থাপত্র। এ পত্রই অনুসরণে এবং অনুকরণে মুক্তি অবধারিত।

স্বপ্ন

আল্লাহ্ পাক আমাকে বিবস্ত্রাবস্থা থেকে জাগরণ সচেতন করে বসিয়েছেন। পুতুলের কিস-কিস শব্দের মাধ্যমে। মুমীন মুসলমানদের ভূষণ আল্লাহর আদেশ নিষেধ পালনের ওপর। আমল না থাকলে ভূষণ থাকে না। যার ভূষণ থাকে না তাকে বিবস্ত্র বলা উত্তোক্তি হয় না। মুসলমান ভূষণ হারিয়ে অস্থায়ী বিবস্ত্র পুতুলি জীবনের দিকে ধাবমান। নবী রাসূলগণের মাধ্যমে স্রষ্টা অর্থাৎ আল্লাহর প থেকে প্রাপ্ত ভূষণ গ্রন্থাবলি মানবকুলে প্রতিষ্ঠা করা মানবীয় দায়িত্ব। যদি তা মানব কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয় সে মানব বা মানবকুল বিবস্ত্রই থেকে যায়। বিবস্ত্র অর্থ পার্থিক বস্ত্র নয়। যারা ধর্ম গ্রন্থ থেকে দূরে তারা বিবস্ত্র মৃত প্রায়। মহান স্রষ্টা আল্লাহর বিধানের মাধ্যমেই মানবকুল ব্যক্তি সমাজ এবং রাষ্ট্রকে সুন্দরভাবে সুসজ্জিত করতে পারে। একমাত্র এ কারণেই সৃষ্টিকর্তা তাঁর মহাপবিত্র গ্রন্থাবলি প্রেরণ করেন।

যে নবী কর্তৃক আনিত গ্রন্থ মানব কর্তৃক নর্দমায় নিপ্তি হয়, সে নবীই নর্দমায় নিপ্তি হল এবং সে ব্যক্তি বা জাতিই নরকের দিকে ধাবিত হল। অত্যাচারী- অমানবিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত নরক পথি মানবরূপি হায়নার দল কর্তৃক নবী রাসূলগণ নির্যাতিত হয়েছেন যেমন- “জাকারিয়া (আঃ)” কেউ কেউ নর্দমায় কুপে কেউ জালিমদের কারণেই সমুদ্রে মৎস্য পেটে নিপ্তি হয়েছেন। কিন্তু তাঁরা আল্লাহর দোস্ত বা বন্ধু ছিলেন আবাদুল আবাদ অনন্ত কাল বন্ধুই থাকবেন। যারা নবী-রাসূল কর্তৃক মহা পবিত্র ধর্ম ভূষণ গ্রন্থ প্রত্যাখ্যান করেছে মূলতঃ তারাই মহা সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ কর্তৃক অনন্তের জন্য প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। যারা নবী আনিত গ্রন্থ ভূষণ নর্দমায় নিপে করেছে তারাই নর্দমায় নিপ্তি হয়েছে অর্থাৎ বিবস্ত্র হয়েছে।
যারা নবী আনিত গ্রন্থ প্রত্যাখ্যান করেছে তারা নবীকেই প্রত্যাখ্যান করেছে তথা আল্লাহকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে প্রত্যাখ্যানকারী চির নরকী হয়েছে। বিঃ দ্রঃ শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ আহমাদ (দঃ) কর্তৃক ঘোষিত দু’জন পবিত্র মানবের ইহধামে আবির্ভাবের সময় অত্যাসন্ন। উনাদের অগ্রগতির পথে নিমক হারাম, ধোকাবাজ-মুনাফিক কুকুর কর্তৃক বাধা অর্থাৎ শঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে।

“আমার স্ব-শরীরে আগমন ইশারা”
দুবস্ত্র পরিধেয়াবস্থায়
এক লুঙ্গি এবং এক গেঞ্জি।”

মহান করুণাময় আল্লাহর প থেকে আমার আগমন ইশারা স্বপ্নযোগে সংঘটিত হয়েছে। ১৯৬৯ সালে তখন কসবা কূট জামি মসজিদে বদলি ইমামের কাজে নিয়োজিত ছিলাম। মাস স্মরণ নেই। দিনগুলো স্মরণ আছে। চারটি ঘটনা একাধারে চার দিনে সংঘটিত হয়েছে। তাহলো- (১) আগমন (২) জাগরণ, (৩) পত্র পাড়ন বা পত্র লাভ, (৪) প্রত্যাগমন।

(১) আগমন ইশারা, মঙ্গলবার দিবাগত রাত্র শেষার্ধে । যে দিন আমি পৃথিবীতে আসি সে দিনটি ছিলো মঙ্গলবার, আমার মরহুমা আম্মাজান বলেছিলেন।
(২) জাগরণ ইশারাÑ বুধবার দিবাগত রাত্র শেষার্ধে।
(৩) পত্র পাড়ন বা পত্র লাভÑইশারা বৃহসপতিবার দিবাগত রাত্র শেষার্ধে।
(৪) প্রত্যাগমন ইশারা শুক্রবার দিবাগত রাত্র শেষার্ধে।


১। আগমন পরিচিতি
মর্ত মুখি গগনাগত বাষ্পসকট কাবায় দুবস্ত্র পরিহিত কায়।
কাবা মুখি আসিন, গগন সংযোগ, বার্তা তারে ধৃত অনুকূল প্রবাহে ধাবিত। মর্ততার সংযোগ স্তম্ভ, সিড়ি বেয়ে, মর্তে পদার্পণ। প্রত্যাবর্তন পর্যবেণ পথ মঞ্জিল স্থির নিশ্চিত।

বাড়ি গমন পথস্থির
আকাশ হতে মর্তগামী বাষ্প সকটের ছাদে পশ্চিম মুখি আসিন। মর্ত পালা বা খুঁটি সংযোগ যুক্ত গগনবাহীতার ধারণ করে সিঁড়ি রূপ মর্ত বিদ্যুৎ পালা বা খুঁটি বেয়ে, মর্তে নেমে এদিক ওদিক দর্শনান্তে আপন বাড়ী গমন পথ মঞ্জিল বা ষ্টেশন, স্থির করলাম। গগনবাহী তার অর্থাৎ আমার মালিক আল্লাহ আমার সম্পর্কে বা আমার সাথে অদৃশ্য সম্পর্ক রেখেছেন।
বিঃদ্রঃ বাষ্প সকটের ছাদে অর্থাৎ গগনাগত রেল গাড়ির ছাদে তথা পিতার মস্তিষ্কে অর্থাৎ পিতার মগজের ছাদে ডান করওয়াটে আসিন ছিলাম। দেহের কেন্দ্র বা ক্বলব মস্তিষ্ক না থাকলে ক্বলব কোথায়, সে মৃত মৃতের মস্তিষ্ক বা ক্বলব কোথায়? এ ক্বলবের মাধ্যমে অর্থাৎ মস্তিষ্কের মাধ্যমেই আল্লাহর আরশের সাথে সংযোগ স্থাপিত হয়। নূরে ইলাহী বা নূরুল্লাহ এবং নূরে মুহাম্মদি এক সাথে বিরাজ করে। নূরে আল্লাহ্ এবং নূরে মুহাম্মদি এক অন্যের মধ্যে ফানা হয়ে অর্থাৎ একাকার হয়ে থাকে তখন পানি থেকে দুধকে যেমন জুদা বা আলাদা বা পৃথক বুঝায় না তেমনি দুধ থেকে পানিকেও আলাদা বা পৃথক বুঝায় না। দুইটিকে এক নামে দুধ বলেই ডেকে থাকে। তাই আল্লাহুতে মুহাম্মদ (দঃ) অবস্থান করছেন। তাই (লা ইলাহা ইল্লাহ এবং সাথে  মুহাম্মদি (দঃ) নাম রাখতে বা ডাকতে হয়। নূরে আল্লাহ যেখানে সেখানে নূরে মুহাম্মদ (দঃ) আছেন এবং থাকবেন। মুহাম্মদ (দঃ) এখন নূরে মহাম্মদি অবস্থায় অবস্থান করছেন। নূরে আল্লাহ যেখানে নূরে মুহাম্মদ (দঃ) আল্লাহ্ নূরে ফানাহ হযে একাকার হয়ে আছেন সকল অনু ফরমানুতে বিদ্যমান, প্রতি রক্তকণিকায় রয়েছেন, সে মহান আল্লাহ নামক নূরকে স্মরণ করলে এবং দরূদ পড়লে এবং জিকরুল্লাহতে আল্লাহ্ এবং মুহাম্মদ (দঃ) এর সাড়া পাওয়া যাবে। আল্লাহর প্রদত্ত বিধানের মাধ্যমে জীবন জীবিকায় এবং জিকরুল্লাহ তাঁর বা তাঁদের সাথে সম্পর্ক স্থাপিত হবে। তার সাথে সংযোগ স্থাপন হলেই তাঁর বা তাঁদের প থেকে যে কোন সঙ্কেত এসে যায়। স্বপ্নে- তন্দ্রায় বা সচেতনাবস্থায় যখন মগজ মস্তিষ্ক ক্বলব অবৈধ অমঙ্গল মন্দ থেকে মুক্ত থাকে। কারণ সত্য সততা, বৈধতা, ন্যায় এবং পবিত্রতাকে পছন্দ করেন। মস্তিষ্কই ক্বলব অর্থাৎ আল্লাহর ঘরও বলা যেতে পারে। এর মাধ্যমে সৃষ্টি কুলের মর্তে আগমন ঘটে। মোট কথা পিতার মস্তকই বায়তুল্লাহতে এসেছিলাম অর্থাৎ মস্তক বায়তুল্লাহ এর ছাদে আসিন ছিলাম এবং বিদ্যুৎ স্তম্ভ বা পালা বেয়ে মর্তে পদার্পণ অর্থাৎ মাতৃগর্ভ হয়ে মর্তে আগমন।

২। জাগরণ

উচ্চাশনে বিবস্ত্র শায়ীত পুতুলের কিচ কিচ রবে সজাগ সচেতন। পুতুল মুখি আসন। কিচ কিচ শ্রবণ, পুতুল দর্শন। অর্থাৎ ঘুমন্তাবস্থায় অচেতন বিবস্ত্র বিবেক স্বজাগ বা সচেতন হয়ে কিছু বলতে চায়। (মাতৃগর্ভে এবং ক্রোড়ে বা কোলে বিবস্ত্র ছিলাম। পুতুলের কিচ কিচ রব অর্থাৎ পুতুল খেলার ঘুমন্ত অচেতন বিবেক স্বজাগ সচেতন হলো। ভাল মন্দ বিচারের মতা বা বোধ শক্তি এলো। বিশ্ব মানব মুক্তি চিন্তা ভারে পার্থিব শিা বাধা প্রাপ্ত হলো। মানব জাতিকে কিছু বলতে এবং তাদের তরে কিছু করতে কিছু দিয়ে যেতে চায় মন। তাই স্বল্প কথায় কবিতাকারে লিপিবদ্ধ করতে চেষ্টা করছি আমি কবি নই। আমি মহাসৃষ্টিকর্তা একমাত্র আল্লাহর গোলাম।



ঊর্ধ্বগমন ও জাম বৃপত্র পাড়ন

মহান করুণাময় আল্লাহর রহমতে সিঁড়ি বিনা শূন্যে উঠে জাম বৃরে শিখর শাখার  শেষাংশ থেকে একটি পত্র নিয়ে সিঁড়ি বিনা নীচে নেমে মর্তে পা রাখলাম।
স্বপ্ন দর্শন পর ঘুমন্ত বিবেক স্বজাগ সচেতন হলো। শেষ নবী হযরত মুহম্মদ (দঃ) এর আনিত মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর মহা বাণী মহা পবিত্র অদ্বিতীয় মহা গ্রন্থের ওপর সন্দেহাতীত ভাবে বিশ্বাস স্থাপিত হলো।
এ মহা বিধানের আলোকে প্রদত্ত ইবাদাত-কর্ম-পদ্ধতি বা সকল প্রকার ইবাদাত বা কর্মগুলো সমস্ত নিয়ামতের শোকরিয়া বা কৃতজ্ঞতা আদায় বা প্রকাশ স্বরূপ। যারা এ মহাবাণীকে অস্বীকার করেছে প্রত্যেক অস্বীকারীর গলে লা-আনাতের অর্থাৎ গজবের বা মহাশাস্তির তবক্ব মেডেল বা মালা বা ঘণ্টা ঝুলে গেলো। উক্তোক্তিতে বিশ্বাস স্থাপিত হলো।

শুক্রবার দিবাগত রজনী শেষার্ধে
প্রত্যাগমন ইশারা (স্বপ্ন দর্শন)
আপন প্রাণহীন কায় পার্শ্বে বসে নিজ শরীর দর্শন। উদ্ধৃত স্বপ্ন দর্শন কিছু  দিন পর নিম্ন স্বপ্ন দর্শন। দেয়াল ঘেরা পাক মহল দর্শন। উক্ত মহল হতে এক ভদ্র মহিলা নির্গমন দর্শন। দেয়ালের বাইরে দু’রকম গাড়ী, একটি রাজকীয় টেক্সি, অন্যটি সৈনিক গাড়ী দর্শন।
এমনি রজনীতে (স্বপ্ন) দর্শন-দিন স্মরণ নেই, ৭১/৭২ সালের ঘটনা। তাই দিন  স্মরণ নেই। আমাদের পেয়ারে নবী হযরত মুহাম্মদ (দঃ) কে স্বপ্নে দর্শন উজু করার অবস্থায় আসনে আসিন ছিলেন পূর্বমুখি। হুজুরে পাক (দঃ) এর পাশে আর একজন দাঁড়ানো ছিলেন। আমি নবী পাক (দঃ) এর বাম পাশে হুজুরের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়েছিলাম। হুজুরে পাক (দঃ) সাধারণ মেজাজে ছিলেন খোশ মেজাজে নয়।

স্বপ্ন ঃ অন্য এক রজনীতে পশ্চিমে গমন। পরে আল্লাহর রহমতে, মালীকে ইলাহী এবং পেয়ারে নবী হযরত মুহাম্মদ (দঃ) এর রওজায়ে পাক শরীফ এবং বায়তুল্লাহ শরীফ জিয়ারত অর্থাৎ দর্শন করালেন বাস্তবে ২০০০/২০০১ এর মধ্যে। অর্থাৎ হজ্জ করালেন।

স্বপ্ন ঃ অন্য এক রজনীতে মহাপবিত্র জান্নাতে গমন সবুজ পরশ যুক্ত মহল ও সবুজ বাগান দর্শন। যতগুলো প্রবেশ পথ ছিল সব প্রবেশ পথে গমনাগমন করতে  পারতাম। সাত প্রবেশ পথ মনে হলো। ওপর তলা থেকে নীচ তলা, নীচ তলা থেকে ওপর তলায় বিনা সিঁড়িতে। ইচ্ছে হলেই উঠা নামা করতে পারতাম।
পানেয় নহর পাইপ থেকে পানি পান করতে পারতাম। জান্নাতি খানা খাইয়েছিলেন। পলাও মাংসের মতই মনে হল। সবুজ বাগান বৃে আপন ইচ্ছায় ঘুরে বেড়াতে পারতাম। কোন মানব অমানব আত্মার সাথে দেখা হয়নি।
পরে (স্বপ্ন) মহান আল্লাহর প্রেরিত পবিত্র মানব হযরত ইমাম মাহদি (আঃ) এর শুভ আগমনরত লোকালয়ে আগমন রত রাজ পথের দু’ধারে অর্থাৎ দু’পাশে মানবোচ্চারিত শব্দ মারহাবা মারহাবা ধ্বনিতে গগন পাতাল মখরিতাবস্থায় ভিতি প্রদর্শনকারী কুকুরের ঘেউ-ঘেউ বন্ধের জন্য ভীতি প্রদর্মন করতে বা তাড়িয়ে দিতে তাদের প্রতি ঢিল নিপে করলাম।

ইমাম মাহ্দী (আঃ) এর আকার বা গঠন পর্শা লম্বা প্রদর্শন করলাম সাথে আর একজনকে দেখলাম বলে মনে হল। ওলামায়ে কিরামগণের, নায়েবে রাসূল এবং পীর মাশায়েখের রূপ ধারণ করে বিভিন্ন রকমের বিভ্রান্তি মূলক লেখালেখির মাধ্যমে মুসলমানদেরকে বিপদগামী করে তুলেছে। এ সকল আজাজিল শয়তান ভেশিগণ মুসলমানদের এবং ঐ সাহাবায়ে কিরামগণের মহা শক্তি সম্পন্ন নূরানী ইমানি শক্তিকে দুর্বল করে দিয়েছে। তাই সম্মানিত ওলামায়ে কিরামগণের শায়েখ মশায়েখের মধ্যে এবং একতা-ঐক্যতা এক অপরের সম্মান শ্রদ্ধা নষ্টা করে দিয়েছে। অনেকেই রিয়া অহঙ্কারের তলদেশে নিমজ্জিত হয়েছে। এ কারণেই ইসলাম আজ বিপর্যয়ের কে অর্থাৎ বিপর্যয়ের বলয়ে ঘুর পাক খাচ্ছে। বিপর্যয় হতে মুক্তি পেতে হলে নবী আখলাক নিয়ে ঘুরে দাঁড়তে হবে।

অন্যথা ধ্বংস অবধারিত। শয়তান গ্রাসি কর্মকান্ড কিভাবে চলছে ল্য করুন মহা অদ্বিতীয় গ্রন্থ “আল ক্বোরআন” শরীফের নাম পরিবর্তন করে “হামায়েল শরীফ” রেখেছে। নিশ্চয় শুনেছেন নামটি কিন্তু গুরুত্ব দেননি। শব্দ সংপে করার চ্যুত নিয়ে, কালেমা শাহাদাত থেকে ওয়াহ্দাহু লা শারীকালাহু” শব্দগুলো সম্পূর্ণ রূপে বাদ দিয়ে পড়াচ্ছে। নূরানী নামক কায়দাগুলোতে সাধারণত দেখা যায়। যে কালেমায়ে তাইয়্যেবার ওপর ভিত্তি করেই মুসলমানদের মসজিদগুলো স্থাপিত হয়েছে। কোন কোন কালেমায়ে তাইয়্যেবা এবং মুহাম্মদ (দঃ) এর নাম মসজিদ থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। কোন কোন মসজিদে শুধু “আল্লাহু” লেখা রয়েছে। মুহাম্মদ (দঃ) শব্দ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। “আমান্ত বিল্লাহি কামাহুয়া বি আসমাহী ওয়াছিফাতিহী ওক্বাবিলতু যামীআ আহকোমিহী ওয়া আরকা নিহী।” এ কালামগুলো থেকে ‘আরকানিহী’ শব্দটি একেবারে বাদ দিয়ে বাচ্চাদেরকে পড়াচ্ছে। অথচ এ শব্দটি ইসলামের মূল স্তম্ভ বা খুটিগুলোর দিকে নির্দেশ দিচ্ছে। খুটি বা স্তম্ভগুলো হচ্ছে  নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত, কালেমা।
এই গুলোকে নির্দেশনামূলক শব্দ বাদ দেয়ার উদ্দেশ্য কি? খুটি বা স্তম্ভ ছাড়া কোন প্রকার ঘর বা মহল খাড়া থাকে না। তাই এগুলো ছাড়া ইসলাম থাকবে না আপনারা জানেন তবে চুপ কেন?

সম্মানিত ওলামায়ে কিরামগণ ল্য করলে অসংখ্য বুল দেখতে পাবেন। ক্বোরানে পাকেও ছাপা ভুলের নামে অনেক ভুল ক্বোরআন শরীফ বাজারে ছাড়া হয়েছে। যা অমার্জনীয় অপরাধ। ছোট খাটো মাসলা-মাসায়েল নিয়ে এক অপরের বিভক্ত হয়ে আছে। মুসলমানগণ আল্লাহকে প্রভু এবং ঈশ্বর নামে ডাকতে দ্বিধা করছে না। মুমীন মুসলমানগণ অন্ধকারে ঘুরপাক খাচ্ছে।
এ অন্ধকার থেকে উত্তরণের উপায় একমাত্র ঐক্যতা স্বচেতনতা এবং সতর্কতা আবশ্যক।

আল্লাহু আকবার
বিসমল্লিাহির  রাহ্মানির রাহীম
মহান আল্লাহর প থেকে অনুগ্রহপ্রাপ্ত হয়েছি পূর্ব ঘোষিত সে পবিত্র মানবদ্বয় আগমন (স্বপ্ন) রত অর্থাৎ অগ্রসরমান রাজ পথে ভিতি প্রদর্শন মূলক কুকুরদের ঘেউ ঘেউ রব রাজপথের দু’ধারে দন্ডায়মান মানুষের অন্তর মুখ হতে প্রকাশিত স্বাগতম মারহাবা ধ্বনিতে আকাশ পাতাল মুখরিতাবস্থায় কুকুরদের ঘেউ ঘেউ রবের মাধ্যমে স্বাগতমী প্রদর্শক মন্ডলির স্বাগতম মারহাবা ধ্বনিতে বাধা প্রদর্শন  ল্েয কুকুরদের ঘেউ ঘেউ রব বন্ধের জন্য ঢিল নিপে করছি বা প্রতিহত করিছ। অবস্থায় নিজেকে প্রদর্শন করছি। (স্বপ্ন)

মহাসঙ্কেত
পূর্বঘোষিত মহান আল্লাহর অস্থায়ী মর্ত ধরায় আল্লাহর নিকট হতে বিশেষ পবিত্র মানব দ্বয়ের শুভাগমনের পবিত্র পদধ্বনি উপল্েয বিশ্বের সম্মানিত পবিত্র নায়েবে রাসূলগণের এবং সম্মানিত ওলামায়ে কিরামগণের প্রতি বিশেষ মহাসঙ্কেত ও সতর্কবাণী। শেষ নবী দোজাহানের সরদার হযরত মুহাম্মদ (দঃ) এর প্রতিনিধিত্বকারী নায়েবে রাসূল ও সম্মানিত ওলামায়ে কিরামগণের জন্য বিশেষ ঘোষণা।
(আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ)
আপনাদের বিশেষ ভাবে জানা আছে যে, আদম (আঃ) ও মা হাওয়া (আঃ) এর চির  সুন্দর সুখের স্থান জান্নাত হতে ইহধাম মর্তাগমনের ঘটনা। সে আজাজিল শয়তান মহান আল্লাহর বিশেষ পবিত্র মহানবী (দঃ) এর প্রতিনিধি নায়েবে রাসূল ও ওলামায়ে কিরামগণের এবং মুমীন মুসলমানগণের পেছনে লেগেই থাকে। কারণ সে মনে করে এরাই অর্থাৎ মানব সন্তানগণের মধ্য থেকে মুমীনগণই একমাত্র আজাজিল শয়তানের শত্র“। তাদেরকে ধোকা দিয়ে বিপদগামী করে আজাজিলের সাথী বানিয়ে জাহান্নামে নিপে করতে পারলেই তার অর্থাৎ আজাজিলের উদ্দেশ্য সফল হবে। যখন এ মহা মানব আদম (আঃ) কে এবং মহা মানবী মা হাওয়া (আলাইহাসালামকে) জান্নাত থেকে বাহের করা যাবে। এ দু’ মহাত্মাকে জান্নাত থেকে বের করার পূর্বে শয়তান উদ্ধৃত ভাবটি ভেবেছিল।

বর্তমান যুগে আজাজিল অনেক সফল হয়েছে। আপনারা আদম সন্তানেরা বিজ্ঞবান। মুসলিম বিশ্বের দিকে ল্য করলেই বুঝতে ভুল করছেন না। প্রকৃত মুমীন মুসলমান নিঃসন্দেহে জান্নাতি হাদিস শরীফের দিকে নিপ্তি দৃষ্টিতে নিশ্চয়ই বুঝতে পারেন। এ জাতি ভ্রষ্টদের অর্থাৎ যারা অন্ধকারে নিমজ্জিত তাদের পরামর্শে চলে বা তাদের কৌশল চক্র জালে আটকা পড়লে রাহু গ্রাসি চিরাগ্নির আকূল অতল গভীর অগ্নির অন্ধকার গুহায় নিপতিত হবে। ইসলামে মুসলিমেরা চির জান্নাতি। তাও আপনাদের ভালভাবে জানা আছে।

শত্র“ বন্ধু সেজে বন্ধুকে ঘায়েল করে। আলেমগণকে ধ্বংস করতে আলেম ভেস ধারণ করে মুমীন মুসলমানদের ধ্বংস করার জন্য মুসলিম ভেশ ধারণ করে। বর্তমানে এমনি ব্যাপক আলেম এবং মুসলমান পরিলতি হচ্ছে। বিভিন্ন পথে বিভিন্ন উপায়ে  বিভ্রান্তিমূলক লেখালেখির মাধ্যমে মুনাফিক  নিমক হারামগণ মুসলমানদেরকে বিপদগামী করেছে। মহান আল্লাহ মুনাফিক্ব জালিম নষ্টকারী দয়াহীন অমানবিকাচারী অত্যাচারীদেরকে কুকুরাকার প্রদর্শন করিয়েছেন। বর্তমানে ল্য করা যাচ্ছে যে, শতকরা কয়েকজন বাদে সকলেই শয়তানের ধোকায় পড়ে ধোকাবাজ, অহঙ্কারী, ঠকবাজ, মিথ্যাবাদী, হারামখোর, জেনাকারী মোট কথা সমস্ত অবৈধ কর্মে লিপ্ত রয়েছে এবং পথ ভ্রষ্টাবস্থায় অন্ধকারের গহবরে নিপতিত। শয়তান তার কর্মে সে কাময়াব অর্থাৎ কৃতকার্য হয়েছে। তাদের মাধ্যমে কাফিরগণ ইসলামের ক্বলবে অর্থাৎ কেন্দ্রে আঘাত হেনে চলেছে। তারা নায়েবে রাসূল ওলামায়ে কিরাম এবং মুমীন মুসলমানগণের অগ্রগতির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।
ইসলামী আলোকে মানবীক বোর্ড গঠন করা আবশ্যক। এখানে অমানবিক, সাম্প্রদায়িকতা থাকবে না। ইসলামী জগত শয়তান চক্রে আক্রান্ত। করুনাময় আল্লাহ পাকের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (দঃ) এর প্রিয় উম্মাত মুমীন মুসলমানগণ এবং আলেমগণ কি এখনও দেখেননি সে মুনাফিক্বগণকে যারা আপনাদের মধ্যে আলেম সেজে বিভ্রান্তিমূলক লেখালেখির মাধ্যমে আপনাদেরকে বিভ্রান্তি এবং বিপদগামী করেছে এবং নিমকহারাম সৃষ্টি করেছে। তারা আল্লাহর মহা পবিত্র ক্বোরান শরীফকে নর্দমায় নিপে করেছে। ক্বোরআনে পাকের মধ্যে মূর্তি প্রবেশ করিয়ে তার ওপর তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ রাখছে। ক্বোরান শরীফকে পোড়াচ্ছে। একমাত্র মহা তাৎপর্যপূর্ণ অর আলীফকে হামজা নাম দিয়ে শেখাচ্ছে।হামজা দিয়েতো আল্লাহ্ লেখা যাবে না। আলীফের অর্থই আল্লাহ, যাহা ক্বোরআনে পাকের প্রথম অর।
১। আলীফ, ২। লাম, ৩। মীম = এ তিন অরের মূল তাত্ত্বিক অর্থ হচ্ছে ১। আলীফ = আল্লাহ, ২। লাম = লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ৩। মীমে= মুহাম্মদ (দঃ)। আলীফে বুঝাচ্ছে আল্লাহ্ । আল্লাহ কি? কাকে আল্লাহ বুঝাচ্ছে? তা ব্যক্ত করতেছে “লামে”। লামে বুঝাচ্ছে “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ”। অর্থাৎ আল্লাহ তিনি, যিনি ছাড়া কোন মাবুদ বা কোন “ইলাহ” নেই। অর্থাৎ তিনি ছাড়া আর কোন পছন্দনীয় প্রার্থনা বা প্রশংসা পাওয়ার অধিকার নেই। তিনিই একমাত্র প্রশংসার মালিক। সৃষ্টি জগতেরমালিক তিনিই শ্রেষ্ঠ। এ স্রষ্টার পরিচিতি সৃষ্টিকূলে বা মানব কূলে তুলে ধরেছে “মিমে”= মুহাম্মদ (দঃ) তিনি স্রষ্টার বন্ধু এবং স্রষ্টা কর্তৃক প্রেরিত। স্রষ্টার বিধান স্রষ্টার সৃষ্টি কুলে প্রতিষ্ঠার জন্য। আল্লাহ ভাল জানেন।

এ তিন অরের মধ্যে সমগ্র ক্বোরান শরীফ বিদ্যমান আছে। এ তিন অরই হচ্ছে কালেমায়ে তাইয়্যেবা। অর্থাৎ আল্লাহ্ হচ্ছে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ মিম হচ্ছে মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ। মুহাম্মদ (দঃ) মানবকূলে আল্লাহর প্রশংসা করেছে এবং মানবকুলে সে প্রশংষার বাণীগুলো প্রতিষ্ঠা করেছেন। সুতরাং তিনিই প্রশংসাকারী। তাই তিনিই মুহাম্মদ (দঃ) আহামদ অর্থাৎ প্রশংসাকারীই প্রশংসিত। প্রশংসা না করলে বা প্রশংসার কর্ম না করলে প্রশংসিত হতে পারে না। তাই মুহাম্মদ না হয়ে “আহম্মদ” হতে পারে না।

হামজা নামের আলাদা অর রয়েছে। হামজা যদিও আলীফের মত উচ্চারিত হয় সে কিন্তু আলীফ নয় আর আলীফও হামজা নয়।
ভেড়া-ছাগলের মত কিন্তু ছাগল নয়। আমাদের ইমানের মৌলিক শব্দ “ওয়াহ্দাহুলাশারীকা লাহু” যার অর্থ তিনি একক তাঁর কোন শরীক নেই। অর্থাৎ কোন অংশীদার নেই। কালেমা শাহাদাত থেকে বাদ দিয়ে এবং আরকানিহী শব্দটিকে চির তরে উঠিয়ে দিয়ে নূরানী নামে বই ছাপিয়ে বাচ্চাদেরকে পড়াচ্ছে।

মুসলমান “বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম” কে সুবাদ দিয়ে সুপ্রভাত বলতে আরম্ভ করেছে। যে সুস্থ রয়েছে তার জন্য সুপ্রভাত হতে পারে যে অসুস্থ তার জন্য নিশ্চয় কুপ্রভাত। তার জন্য সুপ্রভাত ও সুসন্ধ্যাও নেই। উদ্ধৃত শব্দগুলো মুসলমানদের জন্য প্রযোজ্য নয়।

“বিসমিল্লাহ্” শব্দের মত মহা পবিত্র শব্দ পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। এ শব্দ মঙ্গল, রহমত, বরক্বত, অদ্বিতীয় মহাপবিত্র শব্দ এমন বাক্য বা শব্দ বাদ দিয়ে সুপ্রভাত বর্তমানে কোন কোন মসজিদে শুধু আল্লাহ্- আল্লাহু আকবার, মুহাম্মদ (দঃ) নামটিও লেখছে না। কালেমায়ে তাইয়্যেবাও ‘সরিয়ে ফেলেছে’। নায়েবে রাসূলগণ কোথায়?

যে কলেমার ওপর ভিত্তি করে বায়তুল্লাহ শরীফ ও মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সে কালেমাই সরিয়ে ফেলা হচ্ছে।
ইসলাম মানবতার ধর্ম। ইসলামের নবী মানবতার নবী, স্রষ্টার সৃষ্টিকূলের নবী। বিশ্বে এসেছেন রহমত হিসেবে। তাই উনাকে বলা হয় বিশ্বের রহমত। “তাঁর বাণীতে রয়েছে দয়া-করুণা, ভালোবাসা, প্রেম-প্রিতি, সহযোগিতা, অসহায়ের সহায়, আশ্রয়হীনের আশ্রয় ছাড়া কিছু নেই এবং অশান্তি মূলক কোন বাণী নেই।

এজন্য ইসলামকে শান্তির ধর্ম ইসলামই মানবতার ধর্ম বলা হয়। এখানে অহঙ্কার, হিংসা, ধোকাবাজি, নিমকহারামী। আমানতের খিয়ানত, নেই। অতিরঞ্জিত নেই, নেই সীমা অতিক্রম। এখানে অনধিকার চর্চা নেই। আপনাপন অধিকারের ওপর বহাল থাকে। সকল রং এর সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ থাকে বিশেষ করে পড়শির সাথে বিশেষ বন্ধুত্ব থাকে। এখানে ছোট বড় কাউকে অবমূল্যায়ন করা হয় না। ইসলাম স্রষ্টার সৃষ্টিকে ভালোবাসে। যে স্রষ্টার সৃষ্টিকে ভালোবাসে সে স্রষ্টাকে ভালোবাসে। এখানে হেদায়েত আছে। নছিহত আছে। সন্ত্রাস নেই। ইসলাম হত্যা করতে আসেনি। ইসলাম বাঁচাতে এসেছে। শান্তি নিয়ে এসেছে। এখানে আঘাত করার হুকুম  নেই। যদি না সে ইসলামের ওপর আঘাত হানে। এখানে আছে মা, দয়া করুণা। এখানে আছে সচ্চতা, কলুষমুক্ত পবিত্রতা। এখনে গোড়ামির স্থান নেই।  রয়েছে উদারতা, জবরদস্তি নেই। নবী (দঃ) যখন আল্লাহর বাণী প্রচার করতেন, যারা নবী (দ)ঃ এর কথা বুঝতে চেষ্টা করত না তারা উনার ওপর অত্যাচার করত। তখন নবী (দঃ) আল্লাহর নিকট প্রার্থনার মধ্যে বলতেন, হে আল্লাহ্ আমি তোমার শান্তির বাণী প্রচার করি। তারা তা বুঝতে চেষ্টা করে না। না বুঝে আমার ওপর অত্যাচার করে। আমি কি করব? তদোত্তরে আল্লাহ্ বলেছেনÑ হে বন্ধু আপনি প্রচার করতে থাকুন আমি তাদের হেদায়েত দেব। আল্লাহ্ বলেননি যারা আপনার কথা শুনবে না তাদেরকে মেরে ফেলুন। পৃথিবীতে মহা মানবগণ আসেন মানুষ বাঁচাতে শান্তির পথ প্রদর্শন করতে। অন্ধকার থেকে মানব জাতিকে আলোতে নিয়ে আলোকিত করতে।

বর্তমান দৃশ্যপটে প্রদর্শিত হচ্ছে যে হারাম অবৈধতা বৃদ্ধি পেয়েছে। মানবতা ধ্বংস হয়েছে লোভ-মোহ, প্রবৃত্তি, সর্বস্তরেই বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্মানিত নায়েবে রাসূল, ওলামায়ে কিরাম এবং মুমীন মুসলমান ভাই বোনগণ, ল্য করুন বার বার বলছি ইসলাম নর্দমায় নিপ্তি হয়েছে। আপনারা বুদ্ধিমান, জ্ঞানি, ভ্রান্ত ভ্রষ্টদের প্ররোচনায় ইসলামকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে। আর ঘুমে নয় জাগুন সচেতন হোন। এখনও সময় আছে। পথ ভ্রষ্টদের প্রতিহত করুন। ওলামায়ে কিরাম এবং প্রকৃত মুমীন মুসলমান গণের মাধ্যমেই মহান আল্লাহ ইসলামকে রা করবেন। ইসলাম আমার, আপনার এবং নবী (দঃ) এর ভূূষণ।

জাগ্রে-জাগ্রে-জাগ্রে মুমীন,
জাগ্রে মুমীন মুসলমান।
রক্ত-রবী-রাঙা, জমিন,
লালে লাল আসমান।

হে মুমীন মুসলমান ভাই বোনগণ, ভ্রান্তকারী ভ্রষ্টদের প্ররোচনায় অনেকেই নিমক হারাম মুনাফিকের কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। মহা পবিত্র ক্বোরান শরীফকে নর্দমায় নিপে করেছে। ইসলাম নিপ্তি হয়নি, তারাই নরকে নিপ্তি হয়েছে যারা ক্বোরআনে পাককে নর্দমায় নিপে করেছে বা অপমান করেছে। ইসলাম রা করার মালিক স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্ তাঁরই প্রিয় বান্দাদের মাধ্যমে। যারা ক্বোরআনে পাক ভুল ছেপে বাজারে ছেড়েছে কালেমা থেকে “আরকানিহী”, “ওয়াহ্দাহুলা শারীকালাহু” যারা আল্লাহ্ থেকে মুহাম্মদ নাম সরিয়েছে কোন কোন মুসজিদে কালেমা তাইয়্যেবা সরিয়ে ফেলেছে যারা নূরুল্লাহÑ নূরে ইসলাহী মুহাম্মদ (দঃ) কে সাধারণ মানুষ বলে প্রকাশ করছে এবং মহা পবিত্র কোরআন শরীফের নাম সরিয়ে হামায়েল শলীফ নাম রেখেছে তারাই প্রকৃত পে জাহান্নামে নিপ্তি হয়েছে। জান্নাতের দ্বার তাদের তরে চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়েছে।

বিঃ দ্রঃ সম্মানিত নায়েবে রাসূল ও ওলামায়ে কিরামগণ আপনারাই আল্লাহর বিশেষ সৈনিক। মহান আল্লাহ পাকের মহা দরবার হতে আমার মাধ্যমে আপনাদের প্রতি বিশেষ সতর্ক বাণী করেছেন (মহান আল্লাহকে স্বাি রেখে বলছি) এখন গভীর অন্ধকার যুগ চলছে। এ গভির অন্ধকার অমানিশায় রজনী নিশিতে চৌকিদারের ন্যায় মহান আল্লাহ্ পাকের প হতে ঘোষণা করে যাচ্ছি।

চৌকিদারের দায়িত্ব তার সীমানায় কোথায় কি ঘটছে ল্য রাখা এবং জনগণকে সতর্ক করে দেয়া।  চৌর কোথায় ঢুকেছে তা দেখিয়ে দেয়া। চৌকিদারের অজানা অবস্থায়ও লুট হতে পারে। তা প্রত্য করবে ব্যক্তি বা সমাজ। সদা সতর্কাবস্থায় থাকলেই প্রত্য করা যায়।

আজ সকল দিক হতেই মুনাফিক্ব, নিমক হারাম কর্তৃক সমগ্র মুসলিম জাহান আক্রান্ত। ইসলামের প্রারম্ভ হতেই মুনাফিক্ব নিমকহারাম সৃষ্টি। এর পেছনে শয়তানি চক্র অমুসলিমদের হাত রয়েছে এবং থাকবে। কারণ এক বৃ জন্মালে সাথে সাথে তার ছায়াও বা প্রতিকৃতি বা প্রতিচ্ছবিও জন্মায়। এটা সৃষ্টি কর্তারই বিধান। আদম (আঃ) সৃষ্টির সাথে সাথে আজাজিল নামক শয়তানও সৃষ্টি করলেন। এটা স্রষ্টারই খেল। মানুষকে পরীা করার জন্য। মানুষ কি আল্লাহর বিধান মতে চলে না আজাজিলের কথা মতে চলে। যারা সৃষ্টিকর্তার বিধান মতে জীবন জীবিকা পরিচালনা করে তারাই আল্লাহর প্রিয়। প্রথম মুসলিম সংখ্যা ছিল কম এখন বেড়েছে বাড়বে বৈ কমবে না। সাথে-সাথে মুনাফিক্ব-নিমক হারামও বেড়ে চলেছে। কারণ মহা প্রলয়ের আগ পর্যন্ত শয়তান থাকবে। সৃষ্টিকর্তা তাকে সে সময় দিয়েছে। কারণ আল্লাহ জানেন আল্লাহর প্রিয় বান্দাদেরকে শয়তান ভ্রান্ত পথে নিতে পারবে না। আর একটি দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ হলো তা হলো পানির জোয়ার যেখান থেকে উঠে ওখানে প্রথম ভাটা পড়ে।

ইসলামের জোয়ার আরব থেকে উঠেছে ওখানেই প্রথম ভাটা পড়ার কথা। মুনাফিক্ব কর্তৃক ভ্রষ্ট কাফেরগণ মুমীনগণের ওপর হাবি হয়েছে। অর্থাৎ মুমীন মুসলমানদেরকে আওতার মধ্যে নিয়ে গেছে। আরবেও সুন্নাতের কোন গুরুত্ব নেই। মুহাম্মদ (দঃ) কে সাধারণ মানুষ বলে। নবী (দঃ) যদিও বলেছেন আমি তোমাদের মত। তিনি আকারে ইকারে ছবিতে মানুষ কিন্তু আমাদের মত সাধারণ মানুষ নয়। তিনি অসাধারণ অদ্বিতীয়। যে গুণের অধিকারী। সাধারণ মানুষ সে গুণের অধিকারী নয়। তিনি অতি অসাধারণ অতি মহামানব। তাই তিনি সকল নবীগণের ঊর্ধ্বে। একমাত্র মহানবী (দঃ) তুলনাহীন। এখন আরবে বেশীর ভাগ পরিবারে চলচিত্র চলে শিশ কাবাব, যুয়া, তামাক, নাচ গান চলছে। সারারাত গান বাজনা চলে। নারী পুরুষ যুবক যুবতি অবৈধ সম্পর্ক চলছে। সমকামিতাও ল্য করা যায়।

কিছু আমার প্রত্য দর্শন রয়েছে।
অমুসলিমদের প্ররোচনায় আমাদের মুসলিম সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আল্লাহ পাক যখন আমাকে তাঁর পবিত্র ভূমি আরবের রিয়াদে নিলেন তখন ইসলাম প্রবেশিকা নামে একটি বই আমার হাতে আসে। আমি যখন তা পড়ে দেখলাম অনুবাদক ফারুক আহাম্মদ ভারতীয়। অনুবাদের মধ্যে আল্লাহকে ভগবান, ঈশ্বর, দেব-দেবীর সাথে সমতুল্য করে দেখিয়েছেÑ আমি, দেব দেবীর ঈশ্বরের প্রাধান্যতাই ল্য করেছি। আমি, প্রতিবাদ করা একান্ত প্রয়োজন মনে করলাম। বইটি রিয়াদ থেকে প্রকাশিত তাই ওখানে  থেকে প্রতিবাদ করা সংগত মনে করলাম না। কারণ মুনাফিক্বদের অর্থাৎ ভ্রষ্টদের মধ্য থেকে প্রতিবাদ করা যাবে না। তাই দেশে ফিরে ঞযব ইধহমষধফবংয ঝঁহফধু, ঝবঢ়ঃবসনবৎ ১৯৯৯ এ বইটির প্রতিবাদ লিপি ধনড়ঁঃ গরংষবহফরহম নড়ড়শ ড়হ ওংষধস নামে একটি কলামে লিখে পাঠিয়েছি রিয়াদে। বাংলাদেশ সাংবাদিক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব মরহুম সানাউল্লাহ নূরী সাহেবের সহযোগিতায়। এ প্রতিবাদ স্বরূপ শব্দগুলো গুলির মতই কাজ করছে। অর্থাৎ সতর্কতা বাণী হিসেবে কাজ করছে।
পান্ডিতের নামে ক্বোরআন শরীফের প্রথম অর “আলীফ” যাহা সরাসরি আল্লাহকে বুঝাচ্ছে। সে আলীফ কে হামজা নামে উচ্চারণ করছে। বিভিন্ন রকমে হামলা করছে। পূর্বেকার আসমানী কিতাবগুলোর মতো অকেজো করার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে।

যাঁরা প্রকৃত নায়েবে  রাসূল এবং এলেমে আমলে ওলামায়ে কিরাম রয়েছে তাঁদের সংখ্যা খুবই কম। তাই উনাদের কথায় এবং কাজে এমন কোন উল্লেখযোগ্য কাজ হচ্ছে না।
পবিত্র আরবের রিয়াদে থাকাকালিন অবস্থায় কবিতা আকারে লিখেছিলাম সন ১৯৯৯ইং।

নবীচরণ

নবীচরণ লেগেছে মরুর,
তপ্ত বালূ কণায়
ফুল ফসলের অভাব তরুর,
খানার অভাব নেই তথায়।
নবী চরণে করুণা স্বামী,
তাই ঢের দানিছেন অন্তর্যামী।
পবিত্র স্বভাব রয়েছে অভাব,
খেয়ে কাটায় রাত শিশকাবাব।
অপূরণ গেজা রয়েছে মরুতে,
যদিও চিল না আদি শুরুতে।
সব নিয়ামত খোদার দান,
নবী কারণে দিলেন রহমান।
নবীকে আজ বলেছে সবায়
নবী নাকি মরেছে হায়।
বলে না জেন্দা নবী সারা দুনাইয়ায়
রয়েছে, আল্লাহ যথায় তথায় ।
নূরে মুহাম্মদ ফানাহ আল্লাহতে
রয়েছে হাজীর ক্বলব পাতাতে।
আড়াল শুধু কায় দুনইয়ার
তাই বলে বুঝি নাহি আর।
হায় চোখ থাকিতে অন্ধ,
দূরিবে কবে তব দ্বন্দ্ব?
তাই নেই অন্তরে নবী ছন্দ।
দ্বিধাহীন বলিস নবীকে মন্দ
তবকায় শয়াতনী গন্দ
কবে গন্দ হবে মুক্ত পরজন্দ
নেই কোন ইবাদাত বন্দেগী খোদার।
তোলে না হাত দ্বয় দরবারে দোয়ার
ওরে সব ঘুমন্ত বীর
উঠ আরবার।
মার হুঙ্কার আলীর
চালাও জুলফিক্বার
আজ পূর্ণ মরুতে অসুর,
কইরে নবী তরীক্ব ধরায়
চারিদিকে রব শুধু পশুর
গুঞ্জনে সব ফুল ঝরায়।


ল্য করা যাচ্ছে যে, আল্লাহর দেয়া হাত, আল্লাহর দরবারে পাতে না, আল্লাহর নিকট চায় না। নবী (দঃ) এর বাণী হলো মানুষের নিকট নয় আল্লাহর নিকট চাও। কোন কিছু চাইতে হলে বা পেতে হলে হাত পেতে চাইতে হয়। এখন দেখা যায়, মাটির কাছে বালু খনির কাছে মানুষের কাছে হাত পাতে। মুখে বলে আল্লাহ। কাজে কর্মে ইমানি কর্মকান্ডের পরিচয় নেই। ভোগ বিলাসে উল্লাসে উন্মত্ত।
ডাক এসেছে
উঠরে জেগে,
ছুটরে আগে পবন বেগে।
ছুট্ ছুটে চল খোদার সৈনিক।
কর্ম কর তাঁর দৈনিক।

ভোর
ভোর হয়েছে কাক ডেকেছে,
খোলরে মুমীন খোলো দোর।
ঐ মিনারে ডাক এসেছে,
আল্লাহ পাকের তোর।
আর দেরি নয় যুদ্ধে চল,
আল্লাহ রাসূল দিলে বল।
আল্লাহ নূরে আলো করি,
দূর করিদেয় আঁধার ঘোর
শয়তানেরি চক্র জাল,
কেটে কুটে চল পাতাল।
গগণ চুড়ায় নিশান রাখি,
ধররে সকল কলমা চোর।
দিক বিদিকে ছুটরে ধর,
জাহান্নামে রশিদ কর।
নরক নারে জ্বালি ছালি,
মিট-কাফের শক্তি জোর।
নরক তবক্ব ঝুলছে গলে,
আজাজিলের শরম নাই।
বন্ধু ভেসে মিলে চলে,
জিব কাটে সে আড়াল যাই।
হরক্বতে তার নজর রাখি,
বাজা বাঁশি যোর সোর।
ঐ সিফাহী আসলো ঐ,
আয়রে সকল তোরা কই।
বান্দ চোরাকে শিকল লই,
নিশ্চয় মুমীন হবে জয়ী
মুমীন তরে হুর জান্নাতী,
ঐ খাড়া ঐ নূর আলোর।
ফেরেস্তারা কামান দেগে,
আর দেরি নয় বলছে রেগে
জুলফিকারে আঘাত হানি,
সিকল কেটে খোলরে দোর।

সৌদি আরব এখন আবদুল ওয়াহাব নাজদির পূর্ণ হুকুমাত বা শাসন চলছে। কিছু সংখ্যক ছাড়া বেশির ভাগ ব্যক্তির মধ্যে পূর্ণ আমল নেই বললেই চলে। সুন্নাতের গুরুত্ব নেই। ইসলাম যা কিছু আছে তা বাহ্যিক প্রদর্শনের জন্য মাত্র লায়লাতুল ক্বদর- লায়লাতুল বারাত এবং শবই মিরাজের তেমন গুরুত্ব নেই। এখন মসলিম সমাজে সর্বত্র মুনাফিক্ব-নিমক হারামদের পূর্ণ দাপট চলছে। কাফির নাসারাদের হাতের পুতুল হয়ে আছে আরব রাজ্য। কিছু সংখ্যক নায়েবে রাসূলগণের বক্তৃতা বিবৃতির প্রতি তেমন কর্ণপাত করে না। বর্তমান আরবগণের পূর্ব পুরুষগণ তাঁদের জানমাল আল্লাহর দ্বিনের অর্থাৎ ইসলামের তরে কুরবান করেছেন। বর্হিবিশ্বে ইসলামের পরিচিতি তুলে ধরেছেন। এখন পরিলতি হচ্ছে যে, বর্হিবিশ্ব থেকে ইসলামের পরিচিতি আরব রাজ্যগুলোতে তুলে ধরতে হবে। নাজদি এবং ইয়াজিদি হাওয়া দূর করে প্রকৃত ইসলামের হাওয়া প্রবাহিত করতে হবে। যারা ইসলাম নূরে ডুবেছে তারা নবী (দঃ) এর পূর্ণ কৃতকার্যতা লাভ করেছে।

সম্মানিত আল্লাহর সৈনিক ও ওলামায়ে কিরামগণ এবং মুমীনগণ ইসলাম নর্দমায় নিপ্তি হয়েছে, উদ্ধার করুন মহান আল্লাহ আপনাদের সাথে আছেন।

(দেখবে সে ঐ আল্লাহর নুর)

ইসলাম নূরে ডুব দেবে যে,
দেখবে সে ঐ আল্লাহর নূর।
পেছন ফিরে দেখবে নাসে সে,
লোভ মহ তার হবে দূর।
হবে দিদার আল্লাহর সাথে,
করলে স্মরণ মাঝ রাতে।
হয় না যেতে মুছা নবীর সে পাহাড়ে
কুহে তূর?
নামাজ মাজে আরশুল্লাহ্তে সুন্নাহতে
করে গমন মিরাজে।
ফরজ ওয়াজিব সুন্নাতে,
আল্লাহ রাসূল বিরাজে।
ওঠতে বসতে করলে সদা,
আল্লাহ নামের জিকির শুর।
ঐ শুরে যে অগ্নি জ্বলে,
জ্বলে শয়তান দলে দলে।
তার দিদারে এন্তে জারে,
রয় খাড়া ঐ স্বর্গি হুর।
ফলে ফুলে ভরা বাগান,
বহে তাহুরা শারাবান।
মনি মুক্তা রায়হার-মার্জান
আছে ভূরি হুরগিলমান।
মন মাতানো শূরা শুরে,
মত্ব সদা স্বর্গপুর।
রাজা বাদশা ফক্বীর দরবেশ,
এক সারিতে একই ভেশ।
নূরের সাথে করলে রেশ
নরক তারি সর্বশেষ।
থাকতে সময় আসলে নূরে
সেইতো হবে সূ চতুর।

নবী পাক (দঃ) এর নবুওয়াতের পূর্বে সমাজ সেবায় মগ্ন ছিলেন। আরবের মক্কাবাসি তার সেবায় মুগ্ধ হয়ে তাঁকে আল আমীন (বিশ্বাসী) ডাকতো। তিনি মক্কাবাসিদের নিকট খুবই সম্মানের পাত্র ছিলেন। যারা অন্ধকার রাহুগ্রাসি, অর্থাৎ ভাল-মন্দ বৈধ অবৈধ। ন্যায়, অন্যায় বুঝত না, মানবতা ছিল না। আপন খেয়াল খুশিমত কর্ম করত। শান্তি ছিল না। সেই সময়টাকে অন্ধকার বলা হতো। অন্ধকারে যারা ছিল তাদেরকে অন্ধকারাচ্ছন্ন বলা হত। অর্থাৎ কাফির বা আরবী ভাষায় কুফ্যার বলা হতো। শান্তির বাণী অর্থাৎ  ইসলাম  প্রচারের কারণেই বিরোধ্যাচরণ করতো। ইসলামের বাণীতে ছিল একক মহা শক্তির অর্থাৎ আল্লাহর বাণী আল্লাহ একক তিনি নূর তাঁর কোন আকার নেই। নিরাকার। তাঁকে স্মরন করার জন্য এবং তাঁর প্রদত্ত জীবন জীবিকা পরিচালনার বিধান প্রচার করতেন হস্ত নির্মিত মাটির পুতুল বা মূর্তি পূজা করতে নিঃষেধ করতেন। এ জন্যেই তাঁর বিরোধ্যাচারণ করতো। অত্যাচার করত। তাঁর এ প্রচার বন্ধের জন্য বহু প্রকার প্রলোভন দেখিয়েছিল। তাঁকে আরবের সবার সেরা সুন্দরী দেয়ার লোভ দেখিয়েছিল। তখন বাদশা ছিল না, আরববাসি তাঁকে আরবের বাদশা বানিয়ে সিংহাসনে বসানোর প্রস্তাব দিয়েছিল, যেন তিনি ইসলাম প্রচার বন্ধ করেন। কিন্তু না তিনি সে প্রলোভনে মাথা নত করেননি। তিনি শান্তি অর্থাৎ তার কর্ম ইসলাম প্রচারে মত্ত ছিলেন। কোন লোভে তাঁর মাথা নত করতে পারেনি বা প্রচার বন্ধ করতে পারেনি।

ছাহবায়ে কিরামগণ হুবহু নবী পাক (দঃ) এর অনুসরণ অনুকরণে নিজেদেরকে গড়েছিলেন বিধায় অতি অল্প সময়ে সমগ্র আরব বিশ্ব ইউরোপ পারস্য, ইতালি আন্দালাস প্রায় অর্ধ পৃথিবী শাসন করতে পেরেছিলেন।

সম্মানিত নায়েবে রাসূল এবং ওলামায়ে কিরামগণ জাত, রঙ, ভেদাভেদ না দেখে আল্লাহর সৃষ্টির সেবায় নিজেদেরকে নিয়োজিত করুন। কেবল তখনই জনগণ আপনাদেরকে সেবক এবং শাসক হিসেবে গ্রহণ করবে। অন্যথা বাক্য বয়ে ফল হবে না।

দৃশ্যত ইসলাম এখন বিপর্যয়ের পথে ঘুরপাক খাচ্ছে। আপন আপন ইচ্ছানুযায়ী ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের মাধ্যমে ইসলামকে চূর্ণ বিচুর্ণ করে দিয়েছে। মুমীন মুসলমানগণ এবং ওলামায়ে কিরামগণ এক অন্যে সম্মান প্রদর্শন, ভালবাসা, স্নেহ, মমত মানবতার মাধ্যমে ব্যক্তিকে সমাজকে স্বচ্ছল, সবল করে তুলতে পারলেই ইসলাম আবার আলো নিয়ে জেগে উঠবে।

ইসলামকে পুনরায় জাগিয়ে তোলার জন্য আল্লাহ পাকের প থেকে অনুগ্রহ প্রাপ্ত হয়েছি। আমি বলছিÑ আল্লাহ পাক শ্রবণকারী এবং দর্শনকারী। অনুগ্রহপ্রাপ্ত হয়েছি আপনাদেরকে ডাক দেয়ার জন্য। তাই রজনী প্রহরির মত ডাক দিয়ে য়াচ্ছি জেগে উঠুন। আমাকে অবহেলা করে নিজেদেরেকে ইসলাম এবং কে কুফুরী চক্রান্তে ডুবিয়ে দেবেন না। আক্রমণাত্মক ভিতকর কুকুরের ঘেউ ঘেউ রব ধ্বনির প্রতিবাদ প্রতিরোধস্বরূপ কিছু কিছু ঢিল নিপে বিষয়ক কিছু কথা আমার লেখনির মধ্যে ল্যনীয়।
আমীন Ñ

মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০১৩

What News has come to us after 1400 years?

About the incarnate of 'BISMILLAH' after 1400 years of the Al-Quran is alighted.
How it was sounded or talked or, which word or what sentence at first the Prophet Mohammad (s :) was asked to utter in the cave of the Hira hill was sent by Allah, the great creator through the messenger Zibrail (A :)?
The messenger Zibrail (A :) did not bring the word or the sentence of which the Prophet Mohammad (s :) was asked to tell. The Prophet Mohammad (s :) himself read or sounded it.
Did he know the subject on what was asked, to tall or to read? It is always published that he did not know how to read or how to tell anything by the name of Allah. So, it is might be think that how did he learn it to tell.
All a.id everything in the Holley Quran is the speech of Allah. That is why it is 'Kalamiillah'.
There is no word or speech of the Prophet Mohammad (s :) in the Holly Quran. The speech of the Prophet Mohammad (s :) consists in the book that is known as the 'Hadis Sharif which is not without ILHAM.

'Ohee' (the speech of Allah) in the cave of Hira:
 If we look over the sentence in that 'Ohee', it may be seemed easily that something is wanted through this sentence; that is utter the name of the protector or the great creator. Let's think over the sentence of 'Ohee' That is "IKRA BISMEE ROBBIKA", what does the full sentence mean? That is:

IKRA means = Read,

B or BA means = with,

SMEE means = Name

BISMEE means = by the name or with the name,

ROB means Protector or Caretaker,

KA means = your,

"IKRA BISMEE ROBBIKA" means = Read by the name of your protector or caretaker.

It is understood that he [the Prophet Mohammad (s :)] is asked to utter by the name of the Caretaker or Protector.

As to say that sacrifice is made by a name which is not be valid without a name. Such as, without utter the name of the Creator or the Protector

IKRA is not to be read.

So, at first the name of the creator is uttered and that is why the first sounded word is the name of the CREA TOR and the second word is IKRA.
How the name of the Creator is sounded?
 It is understood that the Prophet Mohammad (s :) did not received the name of the Creator from Zibrail (A :) or by any media. Its seemed easily that Allah, the great Creator and Protector Himself taught the Prophet Mohammad (s :) to read His name and enable to utter through his [Prophet Mohammad (s :)] holly mouth mobarak.

In that like we start to read the Quran with first telling the name of Allah which is' BISMILLAH in Arabic language.

N.B:At first BISMILLAH is alighted directly not by any media.

The holly Quran is alighted through Zibrail (A :).

So, it is seen that it is BISMILLAH that is the basis of the holly

Sentences, Islam and the whole Universe.

Writer-Pirjada Hafiz Abdul Wahed Bugdubi
Member, Bangia Academy, Member No. 3639 
Vill: 3ugdubi Bara Huzur Bari, Dagunbhuiya, Feni, 
Bangladesh. Mobile # 0088-01912 072775

WANT TO READ IN ARABIC- CLICK HERE

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০১৩

The Light of the Sky

BISMILLAHIR RAHMANIR RAHIM
 
About 1400 years back from today, the holiest scripture the Koran began to be descended beginning with the holy word Bismillah. This is valuable word and we need to know when, how and where this was descended upon our Holy Prophet Muhammad (SM)?Was the word Bilmillah meaning in the Name of Allah came on the prophet (SM) through Gabriel like other words or sentences?Or it came directly?, And then where, how and when it came?Respected Mufassirs says, when the prophet (SM) uttered the word, I don't know, I don't know, then Gabriel being ordered by Allah hugged the prophet (SM) and then the Prophet (SM) began to read. There is no doubt in it. But did Gabriel utter the beginning word of the reading, as he uttered the sentences, 'Read, in the name of thy Lord, of the Surah A'laq, the first Surah of the Koran.The sentence 'Iqra Bismi Rabbikallaji Khalaq' seems to be directive that is, an order to utter the name of the Lord. Did he utter the name of the Lord before reading from Iqra?If he uttered the name of the Lord first then by what word, he uttered the name of the Lord and what is that?This is to be noticed that Gabriel did not utter the name of the Lord, but how he came to know the Name, did he know the name of the Lord?This may be noted that the name of the word Allah was not known before the moment of descending. Gabriel did not inform then who informed and taught him to read Bismillah?In the name of Allah this is Bismillah in Arabic. There is no evidence that the prophet knew about this. It appears from the sentence descended after Surah A'laq that the word Bismillah existed. In the holy Koran, the word or sentence of the prophet (SM) was not to be added. Holy Koran is fully Kalamullah, the words of Allah. Kalam means word. If the word Bismillah is taken as the word of the prophet (SM) then the holy Koran is the mixture the words of Allah and the Prophet (SM) (Naujubillah). This can never happen. Kalame Rasul or the words of the prophet (SM) are called Hadith. No doubt that Koran is the revelation of Allah.Did the prophet (SM) utter the name or the word first which came as directive from Allah through Gabriel.If he did not begin reading with that, then with what word, he began reading.Why the word which was the first word for the Prophet (SM) to begin reading has not been taken in the Tafsir as the first word uttered?Now why we are to pursue the holiest word Bismillah after a lapse of 1400 years? I came to the word Bismillah when I began writing one of my books named 'Alor Pathertori' regarding the influence of the religion on the society. With utterance of this holiest, greatest word Bismillah, that is, in the name of Allah, everything becomes full of kindness and generous. That is, beginning is made remembering the name of Allah which keeps that work and action holy and pure, and Allah casts His graceful attention to that action. One who begins with the name of Allah shall remain holy and pure and can never resort to any unholy or impure action.l He remains in peace in the society. One who uses Bismillah in the word and work, Almighty Allah shall be his witness. Holiest word, but now this word came and when? To learn about this, I proceeded to many Islamic scholars and researchers even inquried into the matter in the research centres of the famous universities in Saudi Arabia, Egypt, Kuwait, Qater, Iraq, Iran and other countries through internet. But no reply till date. I am a small writer and want to represent the revelation of the word Bismillah across the word through you. Every person holds right to know anything ask any matter or teach the matter. Know and let know is the human responsibility.Human being is not complete, rather supplementary to each other. Only the Almighty Allah is complete for which human being has to know and let know. And for this, they have to pursue each other which create into them the feelings of love, affection, the relation of respect leading to sustainable relation in the people. Good relation contributes to building of peace in the society and for this reason, people communicate their status of living in good and bad, joys and sorrows, and extend the helping hands of each other to eradicate the distress of the human beings. It leads peace in the society, and peace in the society makes the state peaceful, and with the peace in the state, the pace of progress is accelerated and good image and peaceful relation is established worldwide. It reduces the war and violence in the world.This is my emotional message,
 
I know nothing for which I want to know and let know as said above which are human duty. For this, I would like to solicit attention of the world Islamic scholars and researchers and like to share that I have come across this matter of discussion in my attempt to write a book on the influence of religion on the society. Is my findings right or wrong?This occasion is made to know this through the honorable researchers and journalists. If the matter dug out is right, then I will be obliged if this is recorded in the beginning of Tafsir.Now we go to the main subject uncovered.