সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৪

“দরুদ এবং সালাম সম্পর্কে আলোচনা”

আল্লাহর দরুদ অর্থ্ৎা নবী (দ:) এর ওপর এবং আল্লাহর ধূতগণ যে দরুদ পড়েন তাকে আল্লাহর দরুদ বলা হচ্ছে। ২২তম পারায় সূরা আহজাবের ৫৬তম আয়াতে তাশাহুদের দরুদের কথা বলা হয়নি, তাশাহুদের দরুদ শুধু নামাযের জন্য নির্ধারিত নামায ছাড়া পড়া যায়। কিন্তু আল্লাহ এবং ফিরিস্তাগণ যে দরুদ এবং সালাম পড়েছেন বা পড়তে বলেছেন তা আলাগ যেমন, ছুল্লোল্লাহু আলাইহী ওয়া ছাল্লেমু তাসলীমা অর্থাৎ সম্মানের সাথে দরুদ এবং সালাম প্রদর্শন করতে বলা হয়েছে। এ দরুদ এবং সালাম, লঙ্ঘন করবে যে বা পাঠে অবহেলা করবে সে কুরআন পাকের আওতা ভুক্ত থাকবে না। মুসলীম দুনিয়া হতে বঞ্চিত হবে। বাস্তব এবং অবাস্তব শব্দদ্বয়ের আলোচনায়। আল্লাহ নামক সর্বশক্তিমান আলোর কোন কেন্দ্র স্থল বা উৎপত্তির স্থল নেই। যেমন সূর্যের আলোর কেন্দ্রস্থল আছে ঐ আলোর গোলক ফিন্ড কেন্দ্র থেকে আলোর বিকিরণ ঘটছে। সূর্যের সে আলোর গোলক বা বস্তু পদার্থের গোলক ফিন্ডই হোক, মোট কথা সূর্যের কেন্দ্র বিন্দু পরমাণুই হোক, সে পরমাণুর দৈর্ঘ্য প্রস্থ আছে, যার দৈর্ঘ্য প্রস্থ আছে, নিশ্চয়ই তার আকার আছে। যে আলোর পরমাণু নেই, তার দৈর্ঘ্য প্রস্থও নেই সুতরাং সে অনন্ত অসীম আকারহীন অর্থাৎ নিরাকার এবং অতুল, উপমাহীন, অদ্বিতীয় একক, একমাত্র সর্বশক্তিমান। বিশেষ বিষয়, আল্লাহ নামের মহা নূরের আকার নেই, তিনি নিরাকার, অকূল সীমান্তহীন, অনন্ত, অসীম, তাঁর অর্থাৎ আল্লাহ নামের নুরটির উৎপত্তিস্থল নেই, কেন্দ্র বিন্দু নেই, অণু-পরমাণু নেই, অণু পরমাণু থাকলে তার দৈর্ঘ্য প্রস্থ থাকবে তার কণা থাকবে, কণা থাকলে তার প্রতি ছায়া থাকবে, আল্লাহ নামের নূরের কোন প্রতিশব্দ বা প্রতিচ্ছায়া নেই, এ মহা আলোর কণাও নেই এটাই মহা শক্তিমান একক আলো আল্লাহর নামের বাস্তবতা এখানে কণা বিশিষ্ট আকারের ব্যবধান অর্থাৎ কণা বিশিষ্ট এবং লিঙ্গ বিশিষ্ট ঈশ্বরের মধ্যে মহা শক্তিমান আলোর আল্লাহর ব্যবধান। তাঁর সৃষ্টি জগতের প্রতি পরমাণুতে সে, মহা আলো এবং তাঁরই সৃষ্ট নূরে হাবীব অর্থাৎ নূরে মুহাম্মাদ (দ:) সর্বশক্তিমান নূরে আল্লাহতে মিশে একাকার হয়ে অবস্থান করছেন। যাঁরা ধ্যান, ইন্টারনেট, ফেসবুক খুলেছেন তাঁরাই এদ্বয়ের অর্থাৎ আল্লাহ এবং রাসূলের সাথে বার্তা আদান প্রদান করতে পারছেন এবং পারবেন আল্লাহর অস্তিত্বের  বাস্তবতা এবং নবী (দ:) এর আগমনের বাস্তবতার প্রমাণ রেখে পর্দায় গিয়েছেন, আল্লাহর নূর প্রদর্শন করেছেন, এবং নবী (দ:) কে স্বপ্নে বা তন্দ্রায় বাস্তবাকারে প্রদর্শন করেছেন। তাঁদের পথে যাঁরা থাকবেন তাঁরাই দর্শন করবেন।      

বিসমিল্লাহ সম্পর্কিত পুনঃ আলোচনা

কুরআনে পাকের ১৯তমাংশে সূরা নমলে, নবী  সোলায়মান (আ:) এর সময় ইয়েমেনের রাণী বিলক্বীসের নিকট পত্রে বিসমিল্লাহ সূরাটির বা বাক্যটি মহা পবিত্র কুরআনের আয়াত বা জুমলা বা বাক্য হিসেবে যুক্ত হয়। ল্য করা যাচ্ছে যে, “বিসমিল্লাহ” সূরা বা বাক্যটি দুরকমে আগমন ঘটেছিলো। প্রথম বার স্বয়ং সূরা হিসেবে দ্বিতীয়বার সূরা নমলে আয়াত বা বাক্য হিসেবে আগমন ঘটেছিলো। প্রতিয়মান হচ্ছে যে, কুরআনে পাকের মধ্যে অবতির্ণ বা নাজিলকৃত ১১৪ (একশত চৌদ্দ) সূরার মধ্যে “বিসমিল্লাহ” শরীফেই সূরা বাক্য হিসেবে প্রথম অবতির্ণোচ্ছারিত সূরা। পরে ১৯ তম পারায় বা অংশে সূরা “নমলে” আয়াত হিসেবে যুক্ত হয়েছে। ল্য করা যাচ্ছে বিসমিল্লাহ শরীফ স্বাধীন ভাবে প্রথম নাজিল হওয়ায় বিসমিল্লাহ শরীফেই গারে হিরায় প্রথম নাজিলকৃত সূরা, দ্বিতীয় ইক্বরা শব্দটি উচ্চারিত শব্দ।

মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৪

একটু খুলে বলা হচ্ছে “ইয়া”

ইয়া আরবী শব্দ, ইয়া  সম্পর্কিত আলোচনা ইয়া= অর্থাৎ হে, ওহে, ওগো সম্বোধন সূচক। যেমন হে বন্ধু, ওগো প্রিয় ওগো এদিকে এসো ডাক সূচক শব্দ তুমি কোথায় আছ? যেখানেই থাকনা কেন, আমাকে ভুলবে না। আমা হতে মুখ ফিরিয়ে রাখবে না। তুমি পৃথিবীর যে কোন জায়গায় থাক না কেন তুমি আমার অন্তরের-অন্তর হৃদয়ের কেন্দ্র বিন্দুতে চির জীবন্ত। সব সময় তুমি উপস্থিত যে দিকে তাকাই শুধু তুমি আর তুমি আমার, আমায় ভুলবে না। ইয়া আল্লাহ আপনি এবং আপনার দোস্ত মুৃহাম্মাদ (দ:) সদা আমাদের হৃদয়ের গভীর কেন্দ্র বিন্দুতে উপস্থিত। যাঁরা সে শক্তি অর্জন করবেন তাঁরা দেখেন এবং দেখতে থাকবেন। নূরে মুহাম্মদ (দ:) নামে পৃথিবীতে আগমনের বার্তা আদম (আ:) থেকে ঘোষিত হয়ে আসছে। এবং মানবের মুক্তির শান্তির নির্দেশনা গ্রন্থ আল-ক্বোরআন রেখে গেলেন। যাঁরা এ গ্রন্থ অনুসরণ অনুকরণে ব্রত, তাঁরাই মুক্তি পেলেন এবং পাবেন।
বাস্তব এবং অবাস্তব শব্দ দ্বয়ের মধ্যে ব্যবধান কি?
সর্বশক্তিমান নূরে আল্লাহর আবদার জনিত বাণী। “বিসমিল্লাহ” এবং দরুদাল্লাহ অর্থাৎ যে দরুদ আল্লাহ এবং ফিরিস্তাগণ পড়েন। তা দরুদে ইব্রাহীম নয়। দরুদে ইব্রাহীম নামাযের জন্য খাস, আর যে দরুদ সবসময় পড়া যায় যেমন, “ছাল্লেল্লাহু আইহীওয়াসাল্লাম” ছাল্লেল্লাহু আলা ছাইয়্যেদিনা মুহাম্মাদ ওয়া-আলীহি ওয়াসাল্লাম, ইত্যাদি এবং নবী (দ:) এর ওপর সম্মানের সাথে সালাম পাঠের স্রেষ্ট আবদারাদেশ সুতরাং পরিলতি হচ্ছে এ আদেশ লঙ্ঘনকারী ক্বোরআনের আওতাভুক্ত থাকবে না। নবী (দ:) এর মু-মোবারকের মাধ্যমে সরাসরি আগত এবং প্রথমোচ্চারিত বাক্য “বিসমিল্লাহ” শরীফ এটা বাস্তব। ইক্বরা দ্বিতীয় উচ্চারিত শব্দ। বিসমিল্লাহ বাক্যটি অতুল=তথা তুলনাহীন , সর্বশক্তিমান, সর্বস্রেষ্ট বাক্য, যা “কুরআনে পাকের ১১৪তম সূরা থেকে পৃথক ভাবে আগত। নবী (দ:) এর মু- মোবারকের মাধ্যমে সর্ব প্রথম একক অর্থাৎ স্বাধীনভাবে আগত সৃষ্টি জগতে ইসলামের ভিত্তি মূলত “বিসমিল্লাহ” নবী (দ:) কে সরাসরি বিসমিল্লাহ শরীফ শিা দিয়ে আল্লাহ স্বয়ং শিক হলেন- এবং বিসমিল্লাহ দ্বারা ইসলামের ভিত্তিস্থাপন করে আল্লাহ স্বয়ং সাী হলেন বলে বাস্তবে প্রমাণ রাখলেন। বাক্যটি বাংলা ভাষায় “আল্লাহর নামে” আরবী ভাষায় তা “বিসমিল্লাহ”। বিসমিল্লাহ প্রথম উচ্চারিত না হলে ইক্বরা উচ্চারিত হতো না এবং আল্লাহর সৃষ্ট জগতই মহা শক্তিমান আলো বা আল্লাহর বাস্তবতা প্রমাণ করে। নবী (দ:) আকারে এসেছেন, রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন এবং জীবন জীবিকার পূর্ণ সংবিধান মহাগ্রন্থ আল কুরআন মানবকুলকে প্রদান করে গেলেন এটাই মানবের মুক্তিবিধান এবং মুহাম্মাদ (দ:) এর আগমনের এবং উপস্থিতির বাস্তবতা। 

আলোর নবী মুহাম্মদ (দঃ)

“নূরে আল্লাহ” কে আমরা আল্লাহ শব্দ দ্বারা আমাদের স্রষ্টাকে স্মরণ করি, তিনি সর্ব শেষ সর্ব শক্তিধর একটি আলো, যে আলোর কোন মেছাল বা উদাহরণ সৃষ্টি জগতে নেই। তিনি আলোর কত পর্দা দ্বারা আবৃত বা আল্লাহ নামক আলোর কত গভীরে অবস্থান করছে কারো বলার মতা নেই। যেমন আমরা বাতাস বা হাওয়া নামক পদার্থের মধ্যে জীবন যাপন করছি জান্তাম না। বৈজ্ঞানীকগণ অর্থাৎ গবেষকগণ তা আবিষ্কার করেছেন। আল্লাহর বাণী “ইয়া আইয়্যুহাল্লাজীনা আমানু) আদর বিনোই অর্থাৎ আবদারের সাথে আহবান সূচক বাক্য। হে, ওহে এইযে, আমার বিশ্বাসীগণকে ডাকছি। তোমরা আমার দিকে ল্য কর এবং আমার বাণীটির দিকে মনোনিবেশ কর। আমি তোমাদের ল্েয বলছি “আমি এবং আমার ফিরিস্তাগণ অর্থাৎ আমার দুতগণ দরূদ অর্থাৎ দোয়া করুণা রাহমাত বারক্বাত স্বরূপ (ছোয়াল্লু) শব্দটি পাঠ করি অর্থাৎ পড়ি আমার হাবীব দোস্ত নবী (দঃ) এর ওপর।  হে, ওহে আমার ওপর বিশ্বাসীগণ তোমরাও তাঁর ওপর “দরূদ” অর্থাৎ দোয়া রাহামত, বারাক্বাত করুণা সূচক পাঠ কর অর্থাৎ পড়ো এবং সম্মানের সাথে অর্থাৎ তাজীমের আদবের সাথে সালাম, তথা, সালামত, অর্থাৎ শান্তি সূচক শব্দটি তথা সালাম পাঠ। প্রতিয়মান হচ্ছে যে, উদ্ধৃতোক্তিটি, অতি আবদার জনিত আহবান সূচকোক্তি। আল্লাহর এই করুণ বিনোই সূচক আহবান, আবদার জনিত আহবানটি বা আদেশটি লঙ্ঘীত হলে, সে কুরআন শরীফের  আওয়াতয় থাকবে না, তা সহজে বুঝার মতো ইশারা রয়েছে। এ আদেশ আল্লাহর। আল্লাহর আদেশ লঙ্ঘনকারী মুনাফিক নিমকহারামের দরজায় পড়ে তাই সে আল্লাহর করুণা হতে বঞ্চিত হবে। সে আল্লাহর পবিত্র ঘরে প্রবেশের অধিকার হতে ছিটকে পড়ে অন্ধকারের অতল গহবরে নিপতিত হবে।
নবী (দঃ) এর নিকট মাধ্যম ব্যতিত সরাসরি আগত সর্ব স্রেষ্ঠ একটি বাক্য, যা স্বয়ং একটি সূরা, পরে ঊনিশ পারাতে সূরা নমলে আঁয়াত হিসেবে যুক্ত হয়েছে। এ অতুলনীয় সর্ব স্রেষ্ট বাক্য যা একটি স্বয়ং সম্পূর্ণ সূরা, তার নাম “বিসমিল্লাহ”। এ বাক্যটি কিন্তু কুরআন শরীফের বাক্য বা আয়াত নয়, “বিসমিল্লাহ” পূর্বে যে ছিলো তারই পরিচিতি আমাদেরকে জানিয়েছেন। সূরা নমলের মাধ্যমে  বাতাসের “সাত”টা পর্দা প্রত্যেকটা পর্দা এক একটা জগত এ সাতটি জগতের মধ্যে একটি বিদ্যুৎ তরঙ্গ রয়েছে যার মধ্য দিয়ে বার্তা এবং চিত্র মহুর্তে আদান প্রদান করা হয়। আভ্যন্তরিন তরঙ্গ দিক, ওয়েব দিক বা চিত্র দিক অর্থাৎ আভ্যন্তরিন নেটওয়ার্ক। সর্ব শক্তিমান আলোর যত পর্দাই হোক সব আলোর পর্দা নিয়েই তিনি একক, আল্লাহ নামে পরিচিত এ নাম তাঁরই প্রদত্ত। এ নাম মানব কর্তৃক প্রদত্ত নয়। আর বিশেষ আলোচনা, কেউ কেউ বলে, নবী (দঃ) যখন আল্লাহর স্বাাতে যান, আল্লাহ এবং নবী (দঃ) এর মধ্যে দূরত্ব সত্তর হাজার পর্দা ছিলো কেউ বলেন দু- আঙ্গুলের মধ্যে দূরত্ব যত তত ছিলো, কেউ বলেন রোসনের একটি আবরনের মতো দূরত্ব ছিলো। মোট কথা মূল দূরত্বের খবর মানব জানে না। এ আলোর কোন অণু পরমাণু নেই। অণু পরমাণুর দৈর্ঘ্য প্রস্ত থাকে। যার দৈর্ঘ্য প্রস্থ থাকে, তার আকার থাকে। আকার না হলে, দৈঘ্য প্রস্ত হয় না। আমাদের এ আল্লাহ নামক আলোর অনু পরমাণু নেই। তাই আকার ও নেই। বর্তমানে প্রকাশিত খবর গভেষকগণ, নাকি ঈশ্বরের কণা আবিষ্কার করেছে। যার আকার থাকে তারই কণা থাকে। কিন্তু সর্ব শক্তি ধর মহান আলো যাঁর নাম “আল্লাহ” তাঁর অণু পরমাণু নেই, তাই আকারও নেই, নিরাকারে সর্ব প্রথম মুহাম্মদ (দঃ) নামের নূর সৃষ্টি করে স্বয়ং সাথে সাথেই একাকার করে রেখেছেন। আরশ নামক জগতে আল্লাহ এবং মুহাম্মদ (দঃ) নাম দ্বয় লিপিপটে লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন যা মুসলমানদের একমাত্র মুক্তির চাকি কাঠি সে মুক্তির কাঠির নাম “লা ইলাহা” ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ) যারা এ এই চাকিকাটি গ্রহণ করেছে তাঁদের মুক্তি অবধারিত। স্বয়ং আল্লাহর বাণী, যারা আমার প্রদত্ত পথের পথিক হবে, আমি তাদের জন্য নরকের দ্বার চিরকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছি। উদ্ধৃত বাণী অবিশ্বাসীদের জন্যে নরক দ্বার চিরকালের জন্য উন্মক্ত। নূরে মাহাম্মদ (দঃ) আল্লাহ থেকে দূরে নয়। নূরে আল্লাহ নূরে মাহাম্মদ থেকে পৃথক নয়।
বিশেষ দ্রষ্টব্য ঃ আল্লাহ রাসূল (দ:) বলে সম্বোধন করেছেন একজনকে, যেমন “ইয়া আইয়্যুহাররাসূল” “ মুহাম্মাদর রাসূলল্লাহ (দ:) এর ল্েয। বলে, মুরসালীন শব্দটি আরবিতে জমা অর্থাৎ বাংলায় বহুবচন, এজন্য মুরসালীন শব্দটি বলা সঠিক বলে মনে হয় না। কারণ, স্রষ্টা সৃষ্টি জগতের জন্য, একজন মাত্র রাসূল সর্বপ্রথম সৃষ্টি করে আপন নামের সাথে, যুক্ত করে আরশে আজীমে আপননামের সাথে লিপিপটে, লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন, যা প্রথম মানব আদম (আঃ) স্বয়ং প্রত্য করেছেন। স্রষ্টা অর্থাৎ আল্লাহ আর কোন রাসূল পাঠাবেন না। একল, দুল নবী এবং পয়গবর যা বলা হয়, তাঁদেরকে আল্লাহ রাসূল সম্বোধন করেননি কিন্তু প্রত্যেক জাতি বা গোত্র আল্লাহ কিছু বাণী দিয়ে নবী পাঠিয়েছিল যার নাম ছহীফে। যে তিন বড় গ্রন্থ  অর্থাৎ তাওরীদ, যাবর এবং ইনজীল কিতাব তাও অসম্পূর্ণ, পরিপূর্ণ গ্রন্থ একমাত্র সৃষ্ট লোকের জন্য কুরআন শরীফ প্রেরিত হয়েছে।

নবী (দ:) যদি নূরের আলোর হয়। আঘাতে রক্তাক্ত এবং দান্দান মোবারক শহীদ হলেন কেন? মহাস্রষ্টা উনাদের উপর দিয়ে, এ সকল ঘটনা সংঘটিত করে, আমাদেরকে এ শিা প্রদান করেছেন যে, উপকার করতে গেলে কিছু তি স্বীকার করতে হবে, পেতে গেলে বিবেক-বিবেচনা, শারীরিক শ্রম শক্তি দিতে হবে সহ্য শক্তি তথা ছবর শক্তি দেখাতে হবে। লাভ করতে হলে কিছু তি স্বীকার করতে হবে। তাতে মালিক খুশি হবেন। স্রষ্টার খুশি বা সন্তুষ্টির জন্য ই-তো মহা মানবগণের আগমন ঘটে। মহা মানবগণের সহ্য-ছবর শক্তি দেখে আমরা যেন তা থেকে শিা নিতে পারি। নবী (দ:) তবিত শরীরে রক্তাক্ত কলেবরে তায়েফ বাসিদের জন্য মঙ্গল প্রার্থনা করেছিলেন। মহামানবগণই মানুষকে মন্দকর্ম বা নরক কর্ম থেকে বাঁচাতে এসে আরামকে হারাম করে মানুষকে মুক্তির পথ প্রদর্শন করে।
জন্ম দিবস সম্পর্কিত বিষয় অর্থাৎ “মিলাদ”
জীবদ্দশায় জন্ম দিবস পালনের প্রশ্নই আসে না। কারণ যে জন্ম নেয়, তাঁর গুণাগুণ, দানাবদান কি? বিশ্ব জাতি তাঁর থেকে কি পেয়েছে, তাঁকে স্মরণ করার জন্য? তাঁর জীবদ্দশায় তাঁর কর্তৃক শান্তির বা মুক্তির পথ প্রদর্শিত হয়েছে কি? তাঁর অবদানে পুন: জাগরণের সচেতন বিবেক তাঁর আদর্শকে ধরে রাখার জন্য তাঁর জন্ম দিবস পালনের মাধ্যমে জাগরণ, সচেতনতা, সতেজ রাখার জন্য জন্ম দিবস অর্থাৎ মিলাদ অনুষ্ঠান পালন করা অনুসারিদের জন্য ফরজ অর্থাৎ অত্যাবশ্যকীয় কর্তব্য অতিদায়িত্ব ভবিষ্যত প্রজন্মরা যেন পথ ভ্রষ্ট না হয়। প্রত্যেক ধর্মানুসারিগণ তা পালন করে থাকেন, ধর্ম রার জন্য। পূর্বোদ্ধৃত বাণীটি একটি বিশেষ বাণী অতি আদরের আবদার জনিত বাণী ল্য করা যাক, উক্ত বাণীটি এত আবদারের কেন? পবিত্র কালামপাকের ২২তম পারা, ৫৬তম আয়ত বা বাক্যে একমাত্র আল্লাহর নির্ধারিত, অবধারিত, লঙ্ঘনীয়, মহান আদেশটিতে পরিলতি হচ্ছে যে, এমন একটি আদেশ, যে আদেশটি সর্বস্রেষ্ট আদেশ বলে গণ্য করা যায়। আদেশটি হলো- (ইন্নাল্লাহা= নিশ্চয়ই আমি আল্লাহ, “ওয়া” (এবং) আমার মালায়েক অর্থাৎ ফিরিস্তা বা দূত্গণ (ইউছাল্লুানা) দরুদ,অর্থাৎ দোয়া, করুণা, রাহমাত,বারক্বাত জনিত শব্দ (আলান্নাবী-ই) নবী (দ:) এর ওপর বর্ষন এবং ইয়া= হে , ওহে (আই ইউহাল্লাজীনা আমানু)= আমার বিশ্বাসিগণ , (ছোয়াল্লু আলাইহি)= তাঁর ওপর দরুদ “ওয়া” (এবং) সাল্লেমু= সালাম সালামত, শান্তি জনিত বাণী বর্ষন অর্থাৎ পাঠ  কর। তাসলীমা= সম্মান অর্থাৎ তাজীমের সাথে। (পূর্ণ আরবী ইন্নাল্লাহা ওয়া মালাই-কাতাহু ইউছোয়াল্লুনা আলান্নাবি-ই-ইয়া আই-ইউহাল্লাজীনা আমানূ ছোয়াল্লু আলাইহী ওয়া ছাল্লেমু তাসলীমা)= অর্থ নিশ্চয়ই আমি আল্লাহ এবং আমার দূতগণ অর্থাৎ ফিরিস্তাগণ আমার নবীর ওপর দরুদ এবং সালাম পাঠ করি। হে আমার বিশ্বাসীগণ তোমরাও সম্মানের সাথে অর্থাৎ তাজীমের সাথে তাঁর ওপর দরুদ এবং সালাম পাঠ কর।

আল্লাহর সর্বোত্তম আদেশ জনিত বাক্য

“ইক্বরা” অর্থাৎ পাঠ করুন। “ক্বারা” অর্থ পাঠ। সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে প্রাণী কুলে, স্রেষ্ট প্রাণী মানব নামের প্রাণী কুল। মানব-কুল আল্লাহ হতে আদিষ্ট হচ্ছে,তাঁর স্ব-বাণীতে বলছেন বা আদেশ করছেন। “ইক্বরা বিসমি রাব্বিকাল্লাজী খালাক্ব” অর্থাৎ নিজ প্রতি পালকের নামে পাঠ করো। যিনি সর্বস্রষ্টা, আল্লাহর সৃষ্টি মানব কুল আল্লাহ হতে আদিষ্ট হচ্ছে যে, যে কোন বৈধ কর্মের প্রারম্ভে সৃষ্টি কর্তার নামটি সর্বপ্রথম অর্থাৎ আল্লাহর নামটি উচ্চারণ করতে। তাই জ্ঞান বিকাশের জন্য অর্থাৎ অজানাকে জানতে পাঠ এবং ভ্রমন করতেই হবে। নবী (দ:) কে দিয়ে, গগনাকাশ ভ্রমন করিয়ে তথা “মিরাজ শরীফ করিয়ে” মানব কুলকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। যে জ্ঞান বিকাশেরে জন্য যত দূর ইচ্ছে চলে যাও। পরিলতি হচ্ছে স্রষ্টার আদেশ গুলোর মধ্যে সর্বোত্তম আদেশটি হচ্ছে পাঠ কর সর্বপ্রথম আমার নাম পাঠান্তে। দ্বিতীয় মহা আদেশটি হচ্ছে নবী (দ:) এর ওপর দরুদ এবং সালাম পাঠ না করলে সর্ব শেষ, প্রেরিত আল্লাহর মহা পবিত্র গ্রন্থ বা সংবিধান আল কুরআনের আওতায় ভুক্ত থাকবে না। কুরআন স্বা দিচ্ছে “সূরা আলাক্ব”  
বি:দ্র: নবী (দ:) এর সর্বপ্রথম উচ্চারিত শব্দ ‘বিসমিল্লাহ’ দ্বিতীয়টি হচ্ছে ‘ইক্বরা’।
পূর্বোল্লেখিত উক্তিটি পুনরাবৃত্তি করছি, তা হলো স্রষ্টার সৃষ্ট সকল আত্মাই আলোরাত্মা।

যমহা প্রলয় ময়দানের, তাঁরই মতো করে আলোতে আলো আকারে নীজেকে প্রদর্শন করাবেন এবং প্রয়োজন বাণী প্রদান করবেন। আল্লাহর প্রেরিত কোন মহা মানব তাঁকে দেখেছে কোন প্রমাণ নেই। শুধু মুসা (আঃ) দেখার জন্য অভিমান করলে, তাঁর সে বাসনা পূরণ করার ল্েয আল্লাহর নূরের ছায়া প্রদর্শন করিয়েছিলেন। কিন্তু নূরের ছায়ার প্রথম ঝলকেই মুসা (আঃ) জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন, নূরের ঝলকের ঝলকানীতে কূহে তূরের কিয়দাংশ জ্বলে কালো পথরে পরিণত হয়, তা আজও পরিলতি হচ্ছে এবং ল ল মানুষ দর্শনার্থে কূহেতূর পাহাড়ে ধর্না দিচ্ছে। সে জ্বলন্ত কালো পাথর এনে চুসুরমা হিসেবে ব্যবহার করছে। আমাদের নবী মুহাম্মদ (দঃ) যখন মিরাজ শরীফে অর্থাৎ আকাশ ভ্রমনাবস্থায়, যেখানে আল্লাহর সাথে কথা আদান প্রদান করেছেন, সেখানে, “ইয়া নাবী সালাম আলাইকা” বলেনি “আসসালামু আলাইকা, আইয়্যুহান্নাবিয়্যু” শব্দটি ইয়া শব্দের পরিবর্তে বলা হয়েছে। ইয়া শব্দটি ও বিনোই নম্র ভাব প্রকাশক শব্দ ব্যবহার করে মহান স্র্যষ্টা আল্লাহ তাঁরই সৃষ্টি নবী (দ:) কে সম্বোধন সূচক  শব্দে ডেকে বলেছেন, “ইয়া আইয়্যূহাররাসূল” বলে আহ্বান করেছেন। শব্দটি নিকটতম এবং দূরাবস্থিত জনকে আহবান সূচক শব্দ বুঝায়।
নবী (দঃ) আল্লাহ থেকে দূরে অবস্থান করেননি যে, “ইয়া” সম্বোধন করে ডাক দেবেন। এত নিকটে ছিলেন যে, “ইয়া” ব্যবহারের প্রয়োজন হয়নি, তাই আইয়্যূন্না বিইয়্যূ” শব্দে ডেকেছেন আল্লাহ এবং নবী (দঃ) এর মধ্যে কত দূরত্ব ছিলো যদিও দু একটু বলা আছে কিন্তু মূলত বলার মতো মতা বা সে দূরত্ব মাপ যন্ত্র মানবের নেই। যদি একটু ল্য করা যায় আধা গ্লাস পানির মধ্যে বাকি আধা গ্লাসে দুধ ঢেলে দেয়া হয়, তখন দুধ পানিতে মিশে একাকার হয়ে যাবে। মিশ্রিত পানি এবং দুধ একাকার হয়েছে কিন্তু তা যাঁদের নিকট সে যন্ত্র আছে, তাঁরাই জানতে পারেন দুধ এবং পানির মধ্যে দূরত্ব কত? আমার জানা নেই। তবে মিশ্রিত দুধ এবং পানির মধ্য খানে পদার্থ পর্দা আছে তা আমাদের এই দর্শন শক্তির বাহেরে। বিসমিল্লাহ বাণীটি ঊনিশ পারায় সূরা নমলে আঁয়াত হিসেবে যুক্ত হয়ে এসেছে, তুলনাহীন, সর্ব শক্তিমান একটি বাক্য, এ বাক্যটি হচ্ছে স্রষ্টার সৃষ্টির এবং কুরআনে পাকের ভিত্তি। এ বাক্যটিই স্রষ্টার সৃষ্টির এবং মহা পবিত্র কুরআনে পাকের মালীক এবং রক। এ বাক্যটি যেথা প্রয়োগ করা হবে, সেখানে কোন অবৈধতা মিথ্যা কুচক্রান্ত অসত্য উক্তির স্থান নেই। এ বাক্যে রয়েছে সর্ব শক্তিমান রাহমাত, বারক্বাত, করুণা এবং শক্তির তরঙ্গ। এ বাক্যটি অবহেলিত বা লঙ্ঘীত হলে সে সর্ব শক্তিমান স্রষ্টা আল্লাহর করুনা রাহমত, বারক্বাত থেকে বঞ্চিত হবে। এ বাক্যটি থেকেই সমগ্র সৃষ্টি জগতের একটি অণু পরমাণু ও বঞ্চিত হয় না। এ বাক্য শক্তি বলেই সৃষ্টি রতি হচ্ছে। যে দিন এ আলো মহা শক্তিমান তথা আল্লাহ কে স্মরণ করার মতো কেউ থাকবে না। সে দিন মহা প্রলয় সংঘতি হবে কিছুই থাকবে না।

মহাশক্তিমান আলো (৫ম পর্ব)

সূর্যের আলোকে যেমন বলা হয় সূর্যের আলো কিন্তু সূর্যের আলো সূর্য নয়। সূর্য আলো থেকে পৃথক নয়। চাঁদের আলো যেমন চাঁদ নয়, চাঁদও চাঁদের আলো থেকে পৃথক নয়। তেমনি মুহাম্মদ (দ:) নামের নূর বা আলো আল্লাহ হতে পৃৃথক নয়। কিন্তু মুহাম্মদ (দ:) আল্লাহ নামের নূর বা মহা আলোটি নয়। চাঁদের আলো যেমন চাঁদের সাথে-সাথে এবং সূর্যের আলো সূর্যের সাথে সাথে তেমনি আল্লাহর হাবীব নূরে মুহাম্মাদ (দ:) নূরে আল্লাহর সাথে সাথে সর্বত্র বিরাজ মান। এর ওপর বিশ্বাস না হলে সে আল্লাহ এবং রাসূল (দ:) এর ওপর বিশ্বাসী হতে পারলেন না। আল্লাহর সাথে-সাথে রাখার জন্যই তাঁর হাবীব  মুহাম্মদ (দঃ) কে সর্বপ্রথম আরশে আজীমে আল্লাহর নামের সাথে মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ নাম যুক্ত করে লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন, তার দোস্ত মুহাম্মাদি নূর সর্বপ্রথম সৃষ্টি করে। আল্লাহ খাস করে নিজের সাথে সাথে রাখার জন্যই সর্বপ্রথম মুহাম্মাদি নূর সৃষ্টি করেন বলেই মুহাম্মাদ (দ:) কে আল্লাহর নূর বলা হয়। যেমন আবদুল করীমের ছেলে বলা হলে বুঝা যায় যে, তাঁর ছেলের রক্ত মাংশের সাথে করীমের রক্ত মাংশের স¯েপ্রক্ততা  আছে। তা ডাক্তারি পরীায় ধরা পড়ে বলে, করীমের ছেলে  বলে নিশ্চিত হয়। তাই নূরে মুহাম্মদ (দ:) এর সাথে নূরে আল্লাহর স¯েপ্রক্ততা আছে বলেই, মুহাম্মাদ (দ:) কে আল্লাহর নূর বলা হয়। করীমের ছেলেকে করীম বলা হয় নাম করীমের ছেলে করীম নয়, আর ছেলের জন্মদাতা করীম, ছেলের ছেলে নয়। দুই রক্ত মাংশে এক হলেও দুই আপন-আপন জায়গায় পৃথক পৃথক ভাবে অবস্থান করছে। এটাই চিরন্তন সত্য। করীমের সন্তান বলা হলেও করিমের সম্পূর্ণ তা সন্তানের মধ্যে নেই করীমের সন্তানের আত্মা সে মূল আত্মাটির মালিকও  সন্তান নয়, সন্তানের আত্মার মালিক সৃষ্টি কর্তা। নূরে মুহাম্মদ (দঃ) এর নূরের খাস মালিক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ, মুহাম্মাদ (দ:) নয়। তাই নূর মুহাম্মদ (দ:) এর নূর তার মালীক আল্লাহর সাথে-সাথেই থাকেন। আল্লাহর খাস হাবীবে নূর মুহাম্মাদ (দ:) যদি আল্লাহর অর্থাৎ দোস্তের সাথে দোস্ত না থাকে, তবে আমাদের ঈমানী কালেমার মধ্যে আল্লাহর নামের সাথে মুহাম্মাদ (দ:) এর নাম উচ্চারিত হবে কেন? কোন মুসলিম মৃত্যুর পথিক হলে, তাকে কালেমা তাইয়্যেবা পড়িয়ে শুনীয় দিতে হবে। মৃত্যু পথিক সচেতন না থাকুন, সে শুনতে পেলে শান্তি পায়। ক্বুর আন এবং হাদীস  শরীফে এর বর্ণনা রয়েছে। যত নবী রাসূলগণ এসেছেন প্রত্যেকই ক্ববরের পার্শ্বে দাঁড়িয়ে সালাম দোয়া পাঠ এবং কথা আদান প্রদান করতেন। তার কালেমা তাইয়্যেবা সাথে মুহাম্মাদ (দ:) এর নাম উচ্চারিত না হলে, তার মুসলিম পরিচিতি থাকে না। নবী (দ:) এর সহ যোগিতা বা শুফারিস পাবে না। আল্লাহ এবং মুহাম্মাদ (দ:) কে ইন্টারনেট ওয়েব সাইডের মতো মহা স্রষ্টার স্বীয় ইন্টারনেটের মাধ্যমে তাঁদেরকে অর্থাৎ আল্লাহ এবং রাসূল (দ:) কে স্মরণ নামের শক্তি দ্বারা অন্তর গভীরে কিক করলেই অন্তর দৃষ্টিতে দেখা যাবে অর্থাৎ নূর বা আলো দেখা যাবে মুহাম্মাদ (দ:) কে আকারেও দেখা যাবে  কারণ আল্লাহ তাঁকে আকার দিয়ে পাঠিয়েছেন। অণু-পরমাণু, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, ফসফরাস, ইউরিনিয়াম, ফোলানিয়াম, দর্শন করার মতো যাঁদের দৃষ্টি রয়েছে তাঁরাই তা দর্শন করতে পারেন। তাই আল্লাহ এবং রাসূল (দ:) কে দর্শন শক্তি অর্জন করেন যাঁরা, কেবল তাঁরাই নূরে মুহাম্মাদ (দ:) কে আকারে দেখতে পান, তাঁকে আকার দিয়ে মানুষের মতো করে একালে পাঠিয়ে ছিলেন। প্রাণী কুলকে জীবন জীবিকার পথ প্রদর্শনের জন্য আলোর প্রয়োজন। সে আলোর উৎপত্তির স্থল বা কেন্দ্র সূর্য। যাকে আমরা একটি আলোর গোলক পিন্ড হিসেবে দেখতে পাই। সে আলোরই গোলক পিন্ড কি প্রস্তর গোলক পিন্ডের আলোটি কোথা হতে নির্গত হচ্ছে, সঠিক বলার মত খবর এখানো পাওয়া যায়নিই। “নাসা” রকেটের সাহায্যে যে পরীাটি চালিয়ে ছিলো তা থেকে কোন খবর এখনও আসেনি সম্ভবত আর আসবেও না পরস্পর শুনা যাচ্ছিলো রকেটটি জুলে গেছে। আল্লাহ নামের নূরের গোলক পিন্ড বলতে কিছু নেই, অণু-পরমাণু ও নেই, কারণ তিনি নিরাকার, তাঁর আকার নেই। অণু-পরমাণুর দৈর্ঘ্য প্রস্থ থাকে। যার দৈর্ঘ্য প্রস্থ থাকে তার আকার থাকে। আল্লাহ নামের আলোটি শুধু আলো আর আলো। মূসা (আ:) আল্লাহর আলো প্রদর্শনের জন্য যখন বারবার প্রার্থনা করেছেন তখন আলোর একটু ছায়া প্রদর্শন করিয়েছেন তাতে মূসা (আ:) জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন, সে ছায়ার আলোর ঝলকে অহুদ পাহাড়ের কিয়দাংশ জুলে কালো পাথরে পরিণত হয়, যা আজ আমরা চোখের সুরমা হিসেবে ব্যবহার করি এবং পাহাড়টি প্রদর্শনের জন্য বিশ্ব থেকে মানুষ আজও গমগামান করছে।